বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মনমোহন

05/10/2013 10:42 amViews: 9

Hasina-+-Monmohan2013092002ডেস্ক : ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুত্ সঞ্চালন লাইনের উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই বিদ্যুত্ লাইনের উদ্বোধন করেন তারা। একই সময়ে রামপালের ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করেন তারা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভেড়ামারায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উপকেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যৌথভাবে ভেড়ামারা-বহরমপুর ৪০০ কেভি বিদ্যুত্ ট্রান্সমিশন লাইন ও ভেড়ামারা ৫০০ মেগাওয়াট সাব স্টেশনের উদ্বোধন করেন। ২৫ বছর বিদ্যুত্ আমদানির চুক্তিতে ভারতের বহরমপুরে সুইচিং স্টেশন এবং ভেড়ামারায় সাবস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে ৯৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন।

এদিন রামপালের ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করেন তারা। আগামী ২২ অক্টোবর ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রামপাল তাপ বিদ্যুেকন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে তাপ বিদ্যুেকন্দ্র এলাকায় ভিত্তিরপ্রস্তর ফলকের নির্মাণ কাজ চলছে, ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে ৩টি হেলিপ্যাড।

উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর মংলার দিগরাজে লংমাচের্র সমাপনী সমাবেশ থেকে আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে সরকার যদি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কর্মসূচি প্রত্যাহার না করে তাহলে ১২ অক্টোবর সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারী দেয় তেল-গ্যাস-খনিজ-সম্পদ ও বিদ্যুত্ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রেসনোটের মাধ্যমে ২২ অক্টোবর রামপাল তাপ বিদ্যুেকন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু ২২ অক্টোবরের আগেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শনিবার এ তাপ বিদ্যুুেকন্দ্রের উদ্বোধন করা হচ্ছে।

এদিকে এদিন কুষ্টিয়া জেলার ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন। পরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। দীঘদিন পর দলীয় সভানেত্রী কুষ্টিয়া সফরে আসায় বাড়তি উত্সাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে। কুষ্টিয়া স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে সরকারি কলেজ মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের দুই ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও তোরণে ছেয়ে গেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যরা ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন নেতাকর্মীদের বড় বড় ডিজিটাল ব্যানার বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে শহরজুড়ে। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। প্রিয় নেত্রীকে বরণ করতে শেষ মুহূতের্র জন্য চলছে প্রস্তুতি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ গত তিন ধরে কুষ্টিয়ায় অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহর আওয়ামী লীগের আয়োজনে শহরের বিকং কোচিং সেন্টারের সামনের চত্বরে সর্বস্তরের নেতাকর্মী ছাড়াও আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন হানিফ। তিনি জনসভা সফল করতে সবার অংশগ্রহণ সহযোগিতা কামনা করেন। শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ জানান, দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার ইতিহাসে নেত্রীর জনসভা স্মরণকালের মধ্যে সব থেকে বড় জনসভা হবে। শুক্রবার সকালে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি কলেজ মাঠ পরিদর্শন করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি এসময় পুরো মাঠ ঘুরে দেখেন। তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী নেতারা এ সময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগ সুত্র জানিয়েছে, দুপুর ২টায় জনসভা শুরু হবে। বিকাল ৩টার দিকে মঞ্চে আসবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত জুলফিকার আলী আরজু বলেন, গত ৫ বছরে কুষ্টিয়ায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। নেত্রী জনসভা থেকে কুষ্টিয়াবাসীর উন্নয়নের জন্য নতুন চমক উপহার দেবেন। তিনি বলেন, নেত্রীকে বরণ করতে সবাই আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

Leave a Reply