বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই : শিল্পমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেছেন, বর্তমান রাজনীতি হচ্ছে অর্থনীতিক। সেজন্য দু’দেশের অর্থনীতিকে সমানতালে এগিয়ে নিতে হবে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশু একাডেমির মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মৈত্রী সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা, সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ খুবই কম, মাত্র ৫ শতাংশ। আন্তঃবাণিজ্য বাড়াতে সম্মিলিতভাবে ট্রেড সুবিধা জরুরি।
আমির হোসেন আমু বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সাথে বাংলাদেশের মৈত্রির সূচনা হয়েছিলো। এ যুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকার যে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল, তা বিশ্বের ইতিহাসে এক নজীরবিহীন দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্যের পাশাপাশি ভারত প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল। এ যুদ্ধে বাংলাদেশের ৩০ লাখ শহীদের পাশাপাশি সাড়ে ১১ হাজার ভারতীয় সৈন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ‘সাফটা’ চুক্তির আওতায় ভারতে ২৫টি পণ্য ছাড়া সব পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিলেও অধিকাংশ পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে বলে উদ্যোক্তারা অভিযোগ করেন। এসব সমস্যার সমাধান হলে আজকের মৈত্রী আলোচনা সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিল্পমন্ত্রী। সব বাণিজ্যিক দূর্বলতা অপসারণের জন্য স্থল বন্দরগুলোতে আধুনিক লজিস্টিক ও গুদাম সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক অবকাঠামোর দূর্বলতাকে সবসময় ব্যবসায়ীরা দায়ী করেন। এছাড়া কাস্টমস সারচার্জ, বেসিক কাস্টমস ডিউটি, অ্যাডিশনাল ডিউটি, কাউন্টারভেইলিং ডিউটি নামে শুল্কারোপ করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।