বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের মধ্যে ৪টি চুক্তি স্বাক্ষর

05/11/2015 7:54 pmViews: 7
বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের মধ্যে ৪টি চুক্তি স্বাক্ষর

 

বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড শিক্ষা ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষ্যে চারটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের উপস্থিতিতে তার সরকারি ভবন ‘কাস্টহুইস’- এ বুধবার রাতে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিববৃন্দ এসব চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

চুক্তিগুলো হচ্ছে, নেদারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পররাষ্ট্র দফতর পর্যায়ে আলোচনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক।

বাংলাদেশ থেকে জুনিয়র কূটনীতিকদের জন্য প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বিষয়ে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষর।

স্যাক্সন ইউনিভার্সিটি অব এ্যাপ্লাইড সায়েন্স, স্কুল অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি এবং বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর।

৪. স্যাক্সন ইউনিভার্সিটি অব এ্যাপ্লাইড সায়েন্স এবং বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি’র মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি/সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আরও ডাচ বিনিয়োগ কামনা করেছেন। নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযাগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লিলিয়ান প্লুমেন বুধবার নেদারল্যান্ডের প্রশাসনিক রাজধানী হেগ নগরীতে গ্রান্ড হোটেল আমরাত কুরহাউজ-এ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ অনুরোধ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বাংলাদেশ থেকে আরও বিশ্বমানের পণ্য আমদানী করার জন্য নেদারল্যান্ডের কোম্পানীগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ওষুধ, চামড়া, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, হালকা প্রকৌশল, পাট, বিদ্যুৎ, জ্বালানি বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো ও জাহাজ চলাচল খাতে বিনিয়োগ করার জন্য ডাচ কোম্পানীগুলোকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ড্রেজার তৈরির জন্য ডাচ মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি সাগর ও নদীতে ভূমি পুনরুদ্ধারে ডাচ সহায়তা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

দু’দেশের মধ্যে নদী গবেষণা ও ভূমি পুনরুদ্ধার কাজে চলমান সহযোগিতার উল্লেখ করে মেলানি শুল্টজ ভান হায়েজেন বলেন যে, নেদারল্যান্ডস সরকার বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০ বাস্তবায়নে আরো সহায়তা দিবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এম নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, বাণিজ্য সচিব হেদায়েদ উল্লাহ আল-মামুন, নৌপরিবহন সচিব শফিক আলম মেহেদী, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম নিজামউদ্দিন আহমেদ ও নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহাম্মদ বেলাল অন্যান্যের মধ্যে এসব বৈঠককালে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় এখানে রাজকীয় প্রাসাদে নেদারল্যান্ডের রাণী ম্যাক্সিমার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় নেদারল্যান্ডের রাণী ম্যাক্সিমা অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ডাচ রাণী অর্থনীতিতে বাংলাদেশের চমৎকার সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি এ ক্ষেত্রে এই ধরণের সাফল্য কি ভাবে অর্জিত হয়েছে তা জানার বিষয়ে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব কৃতিত্ব জনগণের। কারণ, তারা সহিষ্ণু ও কঠোর পরিশ্রমী।

Leave a Reply