বাংলাদেশে ৩০% জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাবে

31/03/2014 10:14 pmViews: 7

বাংলাদেশে ৩০% জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাবে
ঢাকা : ২০৫০ সালের মাঝে বিলুপ্ত হয়ে যাবে বাংলাদেশের ৩০ শতাংশ জীববৈচিত্র্য। আইইউসিএন (IUCN) এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের ১০%  উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে, বিশেষ করে দেশীয় প্রজাতি। মেরুদণ্ডী প্রাণিদের মধ্যে ১৭টি প্রজাতি, স্তন্যপায়ী প্রাণিদের ৭৯৯টি প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। ২০০২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট জীববৈচিত্র্যের ১.৫% বিলুপ্ত। জলবায়ু পরিবর্তন, বাসস্থান সংকট এবং পরিবেশ দূষণের জন্য বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে।

৩০ মার্চ, ২০১৪ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডোর) এক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীরা এই বিষয়টি তুলে ধরেন।

পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তারা জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন এবং আগামী প্রজন্মেই এ ক্ষেত্রে  প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।  “Role of Youth in Climate Change Adaptation through Conservation of Biodiversity” এই কর্মশালাটি আয়োজন করে এসডোর ‘ইয়ুথ ইন অ্যাকশন: গ্রীণ ইয়ুথ সিটিজেন’ প্রকল্পের অধীনে। এসডোর প্রধান কার্যালয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রায় ২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী এ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অফ লাইভলিহুট স্টাডিসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. হামিদুল হক। তিনি এসডোর এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জনান এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।

তিনি সকলকে, বিশেষ করে আগামী প্রজন্মকে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় সংরক্ষণের বিষয়গুলিকে তুলে ধরার বিষয়ে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডোর সেক্রেটারী জেনারেল ড. শাহরিয়ার হোসেন, নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা এবং উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ শাহনাজ মনির।

এসডোর পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে “পরিবেশ শিক্ষা” কার্যক্রম, শিশু সমাবেশ, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং গ্রীণক্লাব গঠনের মাধ্যমে যুব সমাজ ও শিশুদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে ১৯৯৪ সাল থেকে। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই ঢাকা, নাটোর, রংপুর, মুন্সীগঞ্জ এবং রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুলে গ্রীণ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছে।

পরিবেশ সচেতনতা,সংরক্ষণ ও নেতৃত্বে গুনাবলী বিকাশের মাধ্যমে ক্লাবগগুলি অবদান রাখছে।

Leave a Reply