বাংলাদেশে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে : রয়টার্স
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশে সহিংসতা ততই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এর সমাধান নির্ভর করছে ২ নেত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ২ পক্ষে আলোচনার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। কিন্তু চলমান সংকটাবস্থায় দেশটিতে আশার আলো ক্ষীণ হয়ে আসছে।বুধবার প্রভাবশালী সংবাদসংস্থা রয়টার্সে ‘বাংলাদেশ ভায়োলেন্স রিস্কস স্পিনিং আউট অফ কন্ট্রোল এজ পুল নিয়ার’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা চাচ্ছেন একতরফা হলেও তত্ত্ববধায়ক পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। কিন্তু বিএনপি চাইছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। একি সাথে নির্বাচনে অংশগ্রহণের শর্ত হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করছে দলটি।
নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপির নির্বাচন বর্জন করায় ৩০০ আসনের মধ্যে অর্ধেক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটবে যা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সম্ভাবনাকে ধুলিস্যাৎ করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজপথে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে গুলিতে, পিটিয়ে, দগ্ধ হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। এবছর ২ শতাধিক মানুষ রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছে। তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মারা গেছে ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পর। অনেকেই বলছেন, জরুরী অবস্থা জারির সম্ভাবনা বাড়ছে।
শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচ টি ইমামকে উদ্ধৃত করে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাকে নাকচ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অংশগ্রহণকারীদের সবচেয়ে বেশি। যা সেনাবাহিনীর জন্য খুব লাভজনক ও অত্যন্ত আকর্ষনীয়। জাতিসংঘ সেনা হস্তক্ষেপ মানবে না।