বাংলাদেশের জনগণ বিজয় প্রত্যক্ষ করেছে: কাদের

07/01/2024 9:38 pmViews: 3

mzamin

facebook sharing button

অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অপপ্রচার চালিয়ে আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশের বন্ধুদের বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল। বিদেশি ও বাংলাদেশের সাংবাদিকরা এই নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছেন। রোববার সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জনগণের বিজয় উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা হলো বাংলাদেশের জনগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সারাবিশ্বের ও বাংলাদেশের জনগণ বিজয় প্রত্যক্ষ করেছে। বিএনপির ভোট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণ তাদের বর্জন করেছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় অতীতে হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, সহিংসতা করেছে। অপরাজনীতির কুচক্রে তারা আটকে গেছে। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মধ্যমে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, আজ বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা, একজনের দুঃখজনক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আরও বেশি হয়ে থাকে, সে তুলনায় প্রকটভাবে নিদর্শন দেখতে পাইনি।

মাত্র একজনের মৃত্যু ঘটেছে। আমাদের পার্টির প্রধান শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, সরকারপ্রধান হয়েও স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারের। আজ সবাই তা প্রত্যক্ষ করেছেন। সর্বাত্মক সহযোগিতা করা, ফ্যাসিলিটেড করা, কো-অপারেশন দিয়ে শেখ হাসিনা যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেজন্য শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনায় নিয়োজিত সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। গণমাধ্যমে ৩৭টি সহিংসতার খবর পেয়েছি, যা ৪২ হাজার কেন্দ্রের তুলনায় নগণ্য। গুজব, গুঞ্জন, অপ্রপচার, মিথ্যাচারে বিএনপি-জামায়াতের কোনো জুড়ি নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা কথায় কথায় বলে তাদের হাজার হাজার লোক জেলে আছে। আমার প্রশ্ন এরা কেন জেলে আছে? এটা ২৫ হাজার হবে না। আমি কথা বলেছি, এ সংখ্যা তারা যা বলছে তার অর্ধেকেরও কম। কিন্তু কী কারণে তারা জেলে গেছে? কেউ অপরাধ করলে পার পেয়ে যাবে? ১৩, ১৪, ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, পরে আত্মগোপন করেছিল বিচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, সেই নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে। তাদের পুরোনো অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলে আছে। বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। এই বিষয়টা পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এই ঢাকা সিটিতে এবং সারাদেশে আমাদের নেত্রী সমাবেশে করেছেন, ভার্চুয়ালি সমাবেশ করেছেন। বিশাল বিশাল সমাবেশ করেছেন। সাইড বাই সাইড বিএনপিরও বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। একটা উদাহরণ দিতে পারবে তাদের পদযাত্রায়, মানবন্ধনে হামলার চেষ্টা করেছি? তাহলে কেন তারা এই অভিযোগ করে, আপনাদের চিন্তা করতে হবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

Leave a Reply