‘বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সরকারের অবদান নেই’
‘বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সরকারের অবদান নেই’
২ জুলাই ২০১৫, বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাতে সরকারের কোন অবদান নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বলেছেন, জনগণের প্রচেষ্টায়ই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার লুটপাট না করতো তাহলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে যেতো। আজ দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংক লটপাটকারীদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়ে ড. রিপন বলেন, ভোটারবিহীন এই সরকারের আমলে অর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপকভাবে লুটপাট হচ্ছে। এর আগেও এই বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। অর্থমন্ত্রী একজন সজ্জন মানুষ। তার ভাষায় দুষ্টু লোকেরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে অর্থ লোপাটের সঙ্গে জড়িত। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা জানতে চাই, ওই সব দুষ্টু লোক কারা, যাদের সঙ্গে আপনি পারছেন না। পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন। এখন মুখ যেহেতু খুলেছেন, ভাল করে মুখ খুলুন। আপনার বয়স হয়েছে, দেশের পক্ষে দেশের অর্থনীতির পক্ষে কথা বলুন। বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ব্যাংকে যে টাকা জমা হয় তা জনগণের টাকা। বিএনপি জনগণের পক্ষে কথা বলে। ৫৫ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি বেড়েছে। এর মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি টাকা অবলোপনকৃত। এটা সরকার প্রকাশ করেনি। যে পরিমাণ টাকা ঋণখেলাপি হয়েছে, তা দিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু করা যেতো। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিন মাসের আন্দোলনের নেতিবাচক বিষয় বারবার তুলে ধরতে চায়। বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করে না। বিএনপির রাজনীতিতে সহিংসতা সমর্থন করে না। ড. রিপন বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যেতে চাই। আওয়ামী লীগ যদি গত ছয় বছরের লুটপাট বন্ধ করতো, তাহলে জিডিপির হার এখন ৭ শতাংশ হয়ে যেতো। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান রুমী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।