বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সৌদি
একটি সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ থেকে পর্যায়ক্রমে আবার শ্রমিক নিয়োগ শুরু হবে। প্রথমদিকে পরিচারিকা ও গাড়িচালকদের মতো গৃহকর্মীদের নেওয়া হবে। সূত্রটি বলেছে, ‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশ কম খরচে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে সক্ষম।’
সৌদি আরবে নিযুক্ত শ্রমবিষয়ক বাংলাদেশের দূত মোকাম্মেল হোসাইন সৌদি কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর ফলে বাংলাদেশ আরও বেশি প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শ্রমিকদের সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এত দিন এই সংবাদের অপেক্ষায় ছিলাম।’
সৌদি আরবে বর্তমানে ১২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। ২০০৮ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক নিত দেশটি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানি বাড়াতে সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ অঙ্গীকার করেছে, অপরাধের সঙ্গে জড়িত এমন কাউকে সৌদি আরবে পাঠানো হবে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ যাচাই করে দেখতে সৌদি দূতাবাসকে অনুরোধও জানানো হয়েছে।
শ্রমিকদের ব্যাপারে সৌদি সরকার আরও একটি নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকদের নিয়োগ দেবে দেশটি। এর ফলে গৃহকর্মীরা সপ্তাহ বা ঘণ্টার ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
সৌদি আরবের জাতীয় নিয়োগ কমিটির প্রধান সাদ আল-বাদাহ বলেন, সৌদি ম্যানপাওয়ার সার্ভিসেস কোম্পানি শিগগিরই এ ধরনের শ্রমিক নিয়োগ শুরু করবে। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তি সইও করেছে। ভারত, ফিলিপাইন, নেপাল, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে ছয় সহস্রাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক নিয়োগের চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব শ্রমিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করবেন।