বরিশালে হরতালের প্রভাব পরেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে
একের পর এক হরতালের প্রভাব পড়েছে বরিশালের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে। মুদি থেকে শুরু করে কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দশ থেকে বিশ টাকা করে। মাছের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে কেজি প্রতি এক থেকে দেড়’শ টাকা। এতে করে ক্রেতার পাশাপাশি সমস্যা হচ্ছে বিক্রেতাদেরও। মৌসুম চলমান হলেও হরতালের কারণে শীতের সব্জির বাজার চড়া। ফুলকপি, মুলা, সিম, বেগুনের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে দশ থেকে পনের টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনান্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও স্থিতীশিল রয়েছে মাংসের বাজার। গরু ও খাসির মাংসের মূল্য যথাক্রমে আগের ন্যায় দু’শ ষাট ও চার’শ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে কমেছে মুরগীর মাংসের দাম। বয়লার প্রতি কেজি ত্রিশ টাকা কমে এখন একশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগীর দাম কমে যাওয়ায় খামারীরা পড়েছে বিপাকে। এছাড়া আলু, পিঁয়াজ, রসুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে পাঁচ থেকে দশ টাকা করে। তেলের দাম লিটারে বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ টাকা। চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ২/৩ টাকা করে।
হরতালের কারণে বাজার দর বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের খেটে খাওয়া দিনমজুরেরা ভোগান্তির হরতাল কর্মসূচী পরিহার করে রাজনৈতিক নেতাদের বিকল্প আন্দোলনের জন্য অনুরোধ করেছেন। নগরীর রসুলপুর গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা ও ক্ষুদ্র কাঁচামাল ব্যবসায়ী হেমায়েত উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুনেছি রাজনীতি নাকি মানুষের দাবি আদায়ের জন্য করা হয়। তাহলে রাজনীতিবিদরা হরতাল দিয়ে কেন সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলছে, এটা কেমন দাবি আদায়।