বরিশালে মৌসুমী কসাইদের কদর : গোস্তের দোকানে ভীড়
বরিশাল : বরিশাল নগরীসহ জেলার দশটি উপজেলায় পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে পশু কোরবানি দেয়ার জন্য পেশাদার কসাই সঙ্কটে পড়ায় মৌসুমী কসাইদের কদর বেড়েছে। পেশাদার কসাই না পাওয়ায় অনেকেরই কোরবানি করতে দেরি হচ্ছে। আর এ কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা এখন কসাইয়ের কাজ করছেন।
অপরদিকে বিভিন্ন কারনে মধ্যবিত্ত পরিবারের যারা কোরবানী দিতে পারেননি, তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য গোস্ত ক্রয়ের জন্য ভীড় করেন বিভিন্ন মাংসের দোকানে।
নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার ইয়াদুল প্যাদা শীর্ষ নিউজকে জানান, গত এক সপ্তাহ আগে কসাই ঠিক করে রাখা হয়েছিলো। অথচ দুপুর পর্যন্ত তারা (কসাইরা) কেউ না আসায় মৌসুমী কসাইদের দিয়েই তারা গরু বানানোর কাজ করেছেন।
নগরীর নতুন বাজার বাজারের মাংস ব্যবসায়ী কসাই মো. হানিফ মোল্লা শীর্ষ নিউজকে জানান, চারটি গরু বানানোর কাজ পেয়েছি। সবাই তাদের কাজটা আগে চায়। ফলে তাকে কিছুটা বিপাকে পরতে হচ্ছে।
মৌসুমী কসাই ভ্যান চালক বেলায়েত ঘরামী জানান, আজ ভ্যান চালিয়ে যে আয় হতো তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আয় হবে কসাইয়ের কাজ করে। তাই তিনিসহ তার সাথে আরো ৫ জন মৌসুমী কসাইয়ের কাজ করছেন। তারা ক্রয়কৃত গরুর প্রতি হাজারে দুইশত টাকা হারে কসাইয়ের কাজ করছেন।
আশোকাঠী বাজারের মাংস বিক্রেতা বাবুল কসাই শীর্ষ নিউজকে জানান, তার দোকানের ৫জন শ্রমিক আজ একদিনের জন্য অন্যখানে চুক্তিতে কাজ করতে গেছেন। ফলে তিনি দু’জন হেলপার নিয়ে আজ দোকানে কাজ করছেন। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন কারনে মধ্যবিত্ত পরিবারের যারা কোরবানী দিতে পারেননি, তারা সকাল থেকেই পরিবারের সদস্যদের জন্য গোস্ত ক্রয়ের জন্য তার দোকানে ভীড় করেন। বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনি ৫টি গরু জবাই করে তার মাংস বিক্রি করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।