বরিশালে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্র নেতাদের নকল সরবরাহ
ছাত্র নেতাদের অবাদ বিচরনসহ অভিনব পদ্ধতিতে নকল ও ব্যাপক অনিয়মের মধ্যদিয়ে গতকাল শুক্রবার বরিশালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে ২৪টি কেন্দ্রে ২৫ হাজার ৫৯৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন ২০ হাজার ৬৩ জন। প্রায় ৫ হাজার আবেদনকারী ছিলো অনুপস্থিত। কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বনের কারনে স্বরশ্বতি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একজনকে বহিস্কার করা হয়েছে।
নগরীর একাধিক পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাদের অবাদ বিচরন ও নকল সর্বরাহের চিত্র। সকাল ১০টায় সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ কেন্দ্রে বিএম কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিক সেরনিয়াবাত কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তিনি ১০৫ নম্বর কক্ষে তার স্ত্রীর প্রশ্নপত্র নিয়ে উত্তর সম্ভলিত টিক চিহ্ন দেয়া আরেকটি প্রশ্ন ধরিয়ে দিয়ে আসেন। একই কেন্দ্রে কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ হারুন-অর রশিদকে একইভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করে নকল সরবরাহ করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে হারুন সাংবাদিকদের বলেন, আমি এ কলেজের ছাত্র তাই কেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছি। বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরীর বিএম কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কলেজের কর্মপরিষদের ভিপি মঈন তুষার হল পরিদর্শনের নামে নকল সরবরাহ করছেন।
এ ব্যাপারে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের হলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা যায়না। তাহলে হিতে বিপরিত হয়। তবে পরীক্ষা শান্তিপূর্ন ভাবেই হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নগরীর সরকারী মহিলা কলেজ, সরকারী বরিশাল কলেজ, মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, মানিক মিয়া মহিলা কলেজ, নুরিয়া স্কুল, বিএম স্কুল, জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিটি কলেজ, উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্বরশ্বতি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একে স্কুল, হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মজিদুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ২৪টি কেন্দ্রে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।