বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ নয় সের দরে ইভিএম মেশিন বিক্রি করুন: খসরু
বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ নয় সের দরে ইভিএম মেশিন বিক্রি করুন: খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ব্যালট পেপারের বদলে ইলেকট্রনিক পন্থায় যে সহজে ভোট চুরি করা যায় তা শতভাগ প্রমাণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন ইভিএমে টিপলেই নৌকায় ভোট পাওয়া যায়। যত টিপবেন, তত ভোট পাবেন। ঢাকা সিটিতে ৫ শতাংশের ওপরে ভোট হয় নাই, এখন ২৪ শতাংশ দেখিয়ে দিয়েছে। আর কিছু দরকার নাই। আওয়ামী লীগ যে কারণে ইভিএম করেছে সেটা দেশবাসীর কাছে আজকে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে আলোচনা সভায় তিনি একথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি আগে বলেছিলাম ইভিএম বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়ার জন্য। এখন সেটা বলছি না, কারণ বঙ্গোপসাগরে ফেললে পরিবেশ দূষণ হতে পারে। এখন বলব, এগুলো (ইভিএম) মণ-সের দরে স্টিল মিলগুলোতে বিক্রি করে দেন। অন্তত দেশের কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির কিছু রড তৈরি হবে, আর কিছু স্টিলের ফার্নিচার তৈরি হবে। এটা দেশের অর্থনীতিতে হলেও কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারবে। এতে আর যেটা হবে, বাংলাদেশের মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার আরেকটা অস্ত্রের আমরা এখান থেকে বিলুপ্তি দেখবো।
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাত্ল্লুাহ, বিলকিস ইসলাম, এলডিপি একাংশের মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আমির খসরু বলেন, আমরা নির্বাচন (ঢাকা সিটি করপোরেশন) শেষ করেছি, এখন আন্দোলনের ধারা একটা নতুন রূপ নেবে। এখানে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি আশা করবো, যে জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে, তাতে আপনারা সকলে শক্তিশালীভাবে উপস্থিত হবেন। আমরা এই জনসভাকে এমন একটি জনসভায় পরিণত করব, যে জনসভা থেকে দেশে-বিদেশে ম্যাসেজ যাবে বেগম জিয়ার মুক্তি যাতে অতি সহসা হয়। আজকের জনসভা থেকে বড় ধরনের একটা ম্যাসেজ আমরা দিতে চাই।
আমীর খসরু বলেন, খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের জন্য আজকে জেলে থাকতে হচ্ছে। এর পেছনের কারণ হচ্ছে, আপনার ভোট তারা কেড়ে নেবে, আপনার মৌলিক অধিকার তারা কেড়ে নেবে, আপনার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেবে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেবে। গণতন্ত্রসহ এসব অধিকারহরণ করা এবং তাকে আটকিয়ে রাখার বিষয়টা আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। যতদিন গণতন্ত্রের মা জেলে থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তির মিলবে না, ততদিন জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পাবে না, তারা মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে না, বাক স্বাধীনতা ফিরে পাবে না, আইনের শাসন ফিরে পাবে না, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে আসবে না।