বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে সারাদেশে একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন আজ মহান স্বাধীনতা দিবস
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে সারাদেশে একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন
আজ মহান স্বাধীনতা দিবস
২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে প্রতিটি বাঙালির মনে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীন বাংলার অবরুদ্ধ রাজধানী ঢাকা ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা দিনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলিত হয়।
আজ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং ৪৯তম জাতীয় দিবস। বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির মন্ত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবার দিন। আজ একইসঙ্গে বেদনা ও আনন্দের দিন। বেদনাকে প্রতিজ্ঞায় পরিণত করে যুদ্ধের শপথ নেওয়ার দিন আজ। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পুরো রাজধানী সেজে উঠেছে লাল সবুজ আলোক-সজ্জায়। সরকারি ভবন, পথ-ঘাটের সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো সাজিয়ে তোলা হয়েছে জাতীয় পতাকা এবং উজ্জ্বল আলোয়। সে আলোর রোশনাই উপভোগ করতে গত রাত থেকেই রাজধানীবাসী ঘুরেছেন পথে পথে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে এবার জাতীয় পর্যায়ে বিসত্মারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ ভোরে রাজধানীতে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পসত্মবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বসত্মরের জনগণ পুষ্পসত্মবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এদিকে ৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসময় সারাদেশে একযোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হবে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সম্ভব হলে বাংলাদেশের সাথে একই সময়ে এবং অন্যান্যরা একই দিনে সুবিধাজনক সময়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন কর্মসূচি পালন করবে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিসত্মানি সামরিক বাহিনী গণহত্যার সূচনা করে। নিরস্ত্র নিরপরাধ বাঙালির বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করে। তখন মুক্তি সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, ‘পাকিসত্মান সেনাবাহিনী অতর্কিতে পিলখানায় ইপিআর ঘাঁটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করেছে এবং শহরের লোকদের হত্যা করেছে। ঢাকা, চট্টগ্রামের রাসত্মায় রাসত্মায় যুদ্ধ চলছে। আমি বিশ্বের জাতিসমূহের কাছে সাহায্যের আবেদন করছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে মাতৃভূমি মুক্ত করার জন্য শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আপনাদের কাছে আমার আবেদন ও আদেশ দেশকে স্বাধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত্ম যুদ্ধ চালিয়ে যান।’ কোনো আপোষ নাই, জয় আমাদের হবেই। আমাদের পবিত্র মাতৃভূমি থেকে শেষ শত্রুকে বিতাড়িত করবেন। সকল দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতা প্রিয় লোকদের এ সংবাদ পৌঁছে দিন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করবেন। জয় বাংলা।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে সশস্ত্র যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে দেশের সর্বত্র চলে সশস্ত্র প্রতিরোধ। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হ্যান্ডবিল আকারে ইংরেজি ও বাংলায় ছাপিয়ে চট্টগ্রামে বিলি করা হয়।
আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামের ইপিআর সদর দফতর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়ারলেস মারফত প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এবং ২ টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বেতার থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে “স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র” নামে যুদ্ধের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেন তত্কালীন পাকিসত্মান বেতারের তিনজন পথপ্রদর্শক শব্দসৈনিক বেলাল মোহাম্মদ, আবদুল্লাহ্ আল ফারুক এবং প্রয়াত আবুল কাশেম সন্দীপ। ২৬ মার্চ ১৯৭১ সন্ধ্যাবেলায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে ৮৭০ কিলোওয়াট ট্রান্সমিটার থেকে এই বেতারকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ও ২৫ শে মার্চ ১৯৭১’এ পাঠানো স্বাধীনতার ঘোষণাভিত্তিক তারবার্তার আদলে স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কিত অনুষ্ঠান ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ কালুরঘাট থেকে সমপ্রচার করেন এম এ হান্নান, সুলতানুল আলম, বেলাল মোহাম্মদ, আবদুল্লাহ আল ফারুক, আবুল কাশেম সন্দীপ, কবি আবদুস সালাম এবং মাহমুদ হাসান। এসময় বারবার বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া বার্তা পাঠ করেন তারা।
এদিন ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্ত্মরের আদমজী কলেজ থেকে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে সারাদিন আটক রেখে সন্ধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকায় দিনরাত কারফিউ দিয়ে দলে দলে রাস্তায় নেমে ভবন, বস্তি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বাসভবনের ওপর ভারি মেশিনগান ও কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে। এলাকার পর এলাকা আগুন লাগিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুদের অগ্নিদগ্ধ করে এবং গুলি করে হত্যা করে। বিদেশি সাংবাদিকদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবরুদ্ধ রাখা হয়। অবাঙালি নাগরিকদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা দুপুরে ঢাকা আক্রমণ করে এবং মধ্যরাত পর্যন্ত ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদ, দি পিপল, বাংলার বাণী অফিসে এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ট্যাঙ্কের গোলায় ধ্বংস করে দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একাধিক গণকবর খুঁড়ে সেখানে শত শত লাশ মাটি চাপা দিয়ে তার ওপর বুলডোজার চালায়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে সারারাত ধরে হাজার হাজার লাশ মাটি চাপা দেয়া হয়। পুরনো ঢাকায় নিহতদের লাশ বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হয়।
এদিন সকালে পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো কড়া সামরিক প্রহরায় ঢাকা ত্যাগ করেন। করাচি বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি ঢাকায় ২৫ মার্চের সেনাবাহিনীর অপারেশনের প্রশংসা করে বলেন, আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ। সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে রক্ষা করেছে।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। সংসদকে কার্যকর করতে এবং জনকল্যাণে সরকারের উন্নয়ন ভাবনাসমূহের বাস্তবায়নে প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ। এ জন্য সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে আরো অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি- এটাই হোক স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অঙ্গীকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের এই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করি। দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। গড়ে তুলি জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। আজকের এ ঐতিহাসিক দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
দিনটি উপলক্ষে যত কর্মসূচি
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকার বিভিন্ন পথে এবং সদরঘাট থেকে আশুলিয়ায় নৌপথে দেশাত্মবোধক গান গাইবেন শিল্পীরা। এদিন সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রসমূহে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের সকল শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো বিকাল ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সদরে সকালে কুচকাওয়াজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিনটির তাত্পর্য তুলে ধরে কর্মসূচি পালন করবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ দুই দিনের কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, আজ ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। এ ছাড়া, আগামীকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি
সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং পরে শেরে বাংলানগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ। এছাড়া ২৬ মার্চ ভোরে নয়াপল্টনের বিএনপির কার্যালয় ও গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভোরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে। দিবসটি উপলক্ষে ক্রোড়পত্র ও পোস্টার প্রকাশ করবে দলটি।
স্বাধীনতা দিবসে অন্যান্য কর্মসূচি
কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার আসর: সেগুনবাগিচায় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে রয়েছে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকাল সাড়ে চারটায় শুরু হবে অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি থাকবেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২৬ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত, সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে যাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের গান, কবিতা, নৃত্য পরিবেশন ও নাটক মঞ্চায়ন করা হবে। এছাড়া জোহর নামাজের পর মসজিদুল জামিয়ায় বিশেষ মোনাজাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রার্থনা। দিবসটি উপলক্ষে কার্জন হল ও টিএসসিতে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ: বেইলি রোডে সকাল ১০টায় শুরু হবে অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এমপি।
অফিসার্স ক্লাব: ক্লাব প্রাঙ্গণে উদযাপন করা হবে মহান স্বাধীনতা দিবস। রয়েছে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর: সকাল সাড়ে আটটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও অভিযাত্রী পরিচালিত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।