আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। দলটির শেকড় অনেক গভীরে। ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আপোষহীন ছিলেন। কখনও পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপোষ করেননি। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোনো অন্যায় আবদারের কাছে মাথা নত করেননি ও করবেনও না। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের রেলগাড়িতে।

শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।  আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে আর কখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসবে না। সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছেন। সেই মোতাবেক জাতীয় সংসদে আইন পাশ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।

বিএনপি জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যদি বিএনপি’র ইতিহাস জানেন, তাহলে দেখবেন, তারা আমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। যাতে বিচার না হয় এজন্য আইন করেছে। না হলে খালেদা জিয়া দুই বার ক্ষমতায় ছিল, কেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেননি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের তারা পুরস্কৃত করেছে। তাদের চাকরি দিয়েছে। নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছে। বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছিল। আর শেখ হাসিনা দেশটাকে মায়ের মতো লালন-পালন করে আমাদের আলোর পথ দেখিয়েছেন।’

খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, খাড়েরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহাম্মদ খান, কামরুজ্জামান রতন, মো. গোলাম মোস্তফা, আবু ইউসুফ, জাহাঙ্গীর পাঠান, আবু সাইম, আবদুর রউফ মেম্বার, রিমন মিয়া, শফিকুল ইসলাম রঙ্গু, রাসেল মিয়া প্রমুখ। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী ও সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন।