বগুড়ায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল হচ্ছে
বগুড়া: রমজানের শুরুতেই বগুড়ায় সব ধরনের দ্রব্যমূল্য নাগালের বাইরে চলে গেলেও মধ্য রমজানে এসে কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সবজি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম গত এক সপ্তাহে বাড়েনি। বরং বেশ কিছু জিনিসের দাম কমেছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়ে যাওয়া কাঁচামরিচের দাম এক সপ্তাহে অর্ধেকে নেমেছে। শুক্রবার বগুড়ায় ১২০ টাকার কাঁচামরিচ ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও সব ধরনের মাছের আকাল অব্যাহত আছে। দেশী ছোট মাছের কেজি ৬০০ থেকে থেকে হাজার টাকায় উঠেছে। রুই কাতলার দামও কেজিতে বেড়েছে ২০০ টাকা বেড়ে এখন স্থিতিশীল আছে। একমাত্র বড় বাজার ছাড়া বগুড়ার অন্যান্য বাজারে ইলিশ মাছে চোখে পড়ছে না। বড়বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ এ সপ্তাহেও ইলিশ ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ডিম, গরুর মাংস, খাসির মাংস ও ব্রয়লার মুরগি, মসুর ডালের দাম গত সপ্তাহের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। হাঁসের ডিম ৩২ টাকা এবং দেশী মুরগির ডিম ৩৬ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে যাওয়া দেশী মসুর ডাল ১২০ টাকায়, অ্যাংকর ডাল ৬০-৭০ এবং খেসারি ৬৫-৭০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এক কেজি বেসন কিনতে গুনতে হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গরুর গোশত কেজিতে ১০ টাকা এবং খাসির গোশত কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার বগুড়ায় ব্রয়লার মুরগি ২১০, গরু ১৯০, খাসির গোশত ৪০০ টাকা কেজি বক্রি হচ্ছে।
অস্থির হয়ে ওঠা চাল এবং পেঁয়াজের বাজারও এখন স্থিতিশীল। বগুড়ায় নাজিরশাইল চাল ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা, মিনিকেট ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮ টাকা এবং সব ধরনের মোটা চালের দাম ৩৭ থেকে বেড়ে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চালের বাজারের এই মূল্যবৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার বগুড়ায় ৫০ টাকার বেগুন ৩০ টাকা, ১৫ টাকার পটোল ১০ টাকা, ১৫ টাকার ঢেঁড়স ১০ টাকা, ৩০ টাকার করলা ২০ টাকা এবং ৬০ টাকার শসা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । গত সপ্তাহের ৩০ টাকার বরবটি ২০ টাকা, ১২ টাকার আলু ১০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
বগুড়ায় পেঁয়াজের কেজি ৪৫ টাকা হলেও আদা-রসুনের দাম স্থিতিশীল আছে। বগুড়ায় শুক্রবার আদা ৯৫ থেকে ১০০ টাকা এবং রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া রাজাবাজার ব্যবসায়ী ও কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সভাপতি আলহাজ ফজলুর রহমান জানান, রোজার শুরুতে সব জিনিসের দাম বাড়লেও এবার মজুদদাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তাই এখন দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
সয়াবিন তেল পলিপ্যাক পাঁচ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকায় এবং বোতল তিন টাকা বেড়ে ১৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন জাতের ডাল ও মসলার দামে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। সব ধরনের, তেল, চিনি, আটা-ময়দার দাম স্থিতিশীল আছে। ছোলা ৬০, টাকা বুটের ডাল ৬৮, টাকা মসুর ১২০ টাকা, খেসারি ৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চিনি ৫০ এবং সয়াবিন তেল ১২৯ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে বগুড়া শহরের রংপুর রোড কলেজ বাজার, কালিতলাহাট, গোদারপাড়া, মাটিডালি বাজার. নামাজগড়, কলোনি বাজার, খান্দার, সেউজগাড়ি, রাজাবাজারসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সবজির সরবরাহ গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে এবং দামও কমেছে।