ফেলানী হত্যার ৫ বছর, বিচার পায়নি আজও

07/01/2016 1:08 pmViews: 8
ফেলানী হত্যার ৫ বছর, বিচার পায়নি আজও
 
ফেলানী হত্যার ৫ বছর, বিচার পায়নি আজও
কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার পাঁচ বছর আজ। এখনো এ হত্যার ন্যায়বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার।
বৃহস্পতিবার এই কিশোরীর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় বিএসএফের গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে পরপর দুবার ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়ে এলেও অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। পরে ন্যায়বিচারের আশায় ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের (মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ) সহায়তায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করেন ফেলানীর বাবা।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারিত থাকলেও দিনের কার্যতালিকায় না থাকায় শুনানি হয়নি। ফলে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এখনো ঝুলে আছে ফেলানী হত্যার বিচার।
ফেলানী হত্যার আড়াই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিশেষ আদালতে বিচারকাজ শুরু করে বিএসএফ। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন বিএসএফের আদালত। আবারও সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনর্বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন একই আদালত। ২০১৪ সালের ২ জুলাই পুনরায় অমিয় ঘোষের বেকসুর খালাসের রায় বহাল রাখেন আদালত।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয় বাংলাদেশি  কিশোরী ফেলানী। কাঁটাতারের বেড়ায় দীর্ঘ চার ঘণ্টা লাশ ঝুলে থাকার ছবি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রচার হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নড়েচড়ে বসে ভারত-বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার না পেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মাসুমের সহযোগিতায় রিট আবেদন করেছি। ভারতের সর্বোচ্চ এ আদালতে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে কাঁটাতারের বেড়ায় নির্মমভাবে হত্যা করেছে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। আমি ভারতের উচ্চ আদালতে তার ফাঁসি চাই।

Leave a Reply