ফাঁদে ফেলে ছাত্রীদের সঙ্গে সেক্স, পান্না মাষ্টারের ৫ বছর জেল
ফাঁদে ফেলে ছাত্রীদের সঙ্গে সেক্স, পান্না মাষ্টারের ৫ বছর জেল
ছাত্রীদের সঙ্গে যৌনমিলন; তার দৃশ্য ধারণ করে ধরা পরা কুষ্টিয়ার সেই পান্না মাষ্টারকে এক মামলায় (দুই সেকশন) ৫ বছর জেল দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল আদেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় দেন। এছাড়া এ মামলার বাকী তিন আসামি প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল, মনোয়ার হোসেন মনো ও আওলাদ হোসেন দুলালকে খালাস দিয়েছেন আদালত। দ-প্রাপ্ত হেলাল উদ্দিন পান্না কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তসলিম উদ্দিনের (কাঠ মিস্ত্রী) পুত্র। তিনি ২০০৩ সালে কুষ্টিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গণিতের সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এর পর থেকেই ছাত্রী ও বিভিন্ন মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে যৌনমিলন করে তার দৃশ্য ধারণ করে তাদের ফের যৌনমিলনে বাধ্য করতেন পান্না মাস্টার। এমনকি তার বন্ধুদের সঙ্গেও ওইসব তরুণীদের যৌনমিলনে বাধ্য করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে পান্না মেলামেশার চেষ্টা করলে বিষয়টি টের পায় ওই ছাত্রীর স্বজনরা। পরে ওই ছাত্রীর ফুপাতো ভাই স্কুল শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্নার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ কেড়ে নেয়। মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই শিক্ষকের ধারণ করা বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গে মেলামেশার শতশত ছবি ও গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ৬টি সেক্স ভিডিও। সেসময় মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্ত-ভোগী পরিবারগুলো মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে পর্ণগ্রাফি আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা করে। এদিকে
কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ভিডিও ধারণ ও তা প্রচার করার মামলায় ২০১৩ সালের জুন মাসে তিন আসামিকে আটক করে। মামলার অন্য এক আসামি পলাতক ছিলেন। এদিকে এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি সরকারী পক্ষের আইনজীবিরা। কুষ্টিয়া জর্জকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান মামুন জানান, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা মামলার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি।