ফরহাদ মজহার এখনো শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত

শারীরিক ও মানসিকভাবে এখনো বিপর্যস্ত ফরহাদ মজহার। তাকে কারা অপহরণ করেছিল তা নিয়ে তিনি যেমন ধোঁয়াশার মধ্যে, তেমনি পুলিশ গোয়েন্দারাও। অনেক প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন তারা। এ দিকে ফরহাদ মজহারকে অপহরণে দায়েরকৃত মামলার তদন্তভার মহানগর ডিবিকে দেয়া হয়েছে।
ফরহাদ মজহার মুক্ত হওয়ার পরপরই বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পারিবারিক সদস্য ছাড়া গতকালও তার সাথে তেমন কেউ দেখা করতে পারেননি। ফরহাদ মজহারের পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি এখনো অনেকটা কাহিল। যে কারণে ডাক্তার তাকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। ফরহাদ মজহারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তার ওপর দিয়ে ভীষণ একটা ধকল গেছে। এখনো তিনি অনেক কিছুই মনে করতে পারছেন না।
এ দিকে ফরহাদ মজহারকে অপহরণের বিষয়ে আদাবর থানায় যে মামলা হয়েছে গতকাল বুধবার তার তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ন্যস্ত হয়েছে বলে জানান মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেলের ডিসি মাসুদুর রহমান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্তভার ন্যস্ত হওয়ার আগেই তদন্ত শুরু করেছে ডিবি।
এ দিকে ফরহাদ মজহারকে অপহরণ এবং তাকে উদ্ধারের ঘটনায় সৃষ্ট অনেক প্রশ্নের সুরাহা হয়নি। আবার কিছু কিছু বিষয়ের উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ, আদালত এবং পারিবারিক সূত্রে পাওয়া গেছে। প্রশ্ন ছিল ফরহাদ মজহার অতো সকালে কেন বের হয়েছিলেন। পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ মজহারের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তিনি ঘুম থেকে জেগে কম্পিউটার টেবিলে বসেছিলেন। কিন্তু চোখে ঝাপসা দেখছিলেন। তার মনে হলো চোখের ড্রপটা তার নেই। চোখের ড্রপ কিনতে তিনি কাছের একটি ফার্মেসিতে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। ওই ফার্মেসিটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। তিনি ফার্মেসিতে যাওয়ার পথে তিন ব্যক্তি তাকে টেনেহিঁচড়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তাকে মাইক্রোবাসের সিটে বসতে দেয়া হয়নি। সিটের নিচে বসিয়ে রাখা হয়। এ সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয় বলে জানা গেছে। তখন তিনি মোবাইলটি বের করে স্ত্রী ফরিদা আখতারকে ফোন দেন। ফরিদা ফোন রিসিভ করার পরে যে কথা তিনি বলতে পেরেছেন তা হলো, ‘ওরা আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, আর তখনই অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে মোবাইলটি কেড়ে নেয়। তখন তার চোখ বেঁধে ফেলা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাকে কোথায় নেয়া হচ্ছে, কারা নিয়ে যাচ্ছে এসব কিছু বুঝতে পারছিলেন না ফরহাদ মজহার। তবে তাকে যে ঢাকার বাইরে নেয়া হচ্ছে সে বিষয়টি তিনি বুঝতে পারছিলেন। যখন তার চোখ খোলা হয় তখন তিনি খুলনায়। চোখ খোলার পরে তিনি অনেকক্ষণ ভারসাম্যহীন ছিলেন। হঠাৎ আলোর মধ্যে পড়লে যা হয়। কিছুক্ষণ পরে তাকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। তখন সন্ধ্যা। যারা তাকে অপহরণ করেছে তারা একটি হোটেল দেখিয়ে বলে খেয়ে আসার জন্য। বলে দেয়া হয় তারা আশপাশেই আছে। তাকে অনুসরণ করছে। তিনি ওখানে খাওয়ার সময় আলোতে গিয়ে বসেন যাতে অন্যরা তাকে দেখতে পান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ সময় দু-চারজন তার দিকে তাকায়। কিন্তু কারা বুঝতে পারেননি তিনি। তারা অপহরণকারী না সাধারণ মানুষ বোঝা যায়নি। অপহরণকারীরাই হোটেলের বিল পরিশোধ করে।
জানা গেছে, হোটেল থেকে বের হওয়ার পরে তাকে আর মাইক্রোতে না তুলে একটি রিকশায় তোলা হয়। অপহরণকারীরা আবারো বলে দেয় তারা অনুসরণ করছে। অপহরণকারীরা তাকে সোজা বাস কাউন্টারের দিকে যেতে বলে। এরপর তিনি কাউন্টারে গেলে কয়েকজন লোক তাকে পেছনের একটি সিটে বসিয়ে দিয়ে আসে। তারা অপহরণকারীদের সহযোগী কি না তা জানা যায়নি। তবে কিভাবে ফরহাদ মজহারের কাছে বাসের টিকিট এসেছে তা তিনি বলতে পারেননি। তিনি শুধু মনে করেছেন অপহরণকারীরা তাকে অনুসরণ করছে। ওই বাসে যখন তুলে দেয়া হয় তখন বাসে কোনো যাত্রী ছিল না। এরই মধ্যে কোনো এক সময় তারা ফরহাদ মজহারকে একটি ব্যাগ ধরিয়ে দেয়। কখন এটি তার হাতে দেয়া হয় তা খেয়াল নেই। পরে পুলিশের সিজার লিস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝোলা টাইপের ব্যাগের মধ্যে প্রিন্টের লুঙ্গি, প্রিন্টের পাঞ্জাবি ও কিছু টাকা ছিল। টাকার নোটগুলো নতুন।
শ্যামলী রিং রোডের বাসা থেকে ফরহাদ মজহার যখন বের হয়েছিলেন তখন তার সাথে কোনো ব্যাগ ছিল না। সিসি ফুটেজে দেখা গেছে তিনি পাঞ্জাবির পকেটে হাত ঢুকিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। উদ্ধারের পর তার কাছে ব্যাগ পাওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল।
এ দিকে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় কিছু প্রশ্নের জবাব মিললেও এখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুরই জবাব পাওয়া যাচ্ছে না। ফরহাদ মজহারের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও প্রশ্ন হলো আসলে ফরহাদ মজহারকে কারা এবং কী উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল? তারা ফরহাদ মজহারকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল? তারা কেন ফরহাদ মজহারকে সীমান্তের দিকে নিয়ে যাবে? তারা কি ফরহাদ মজহারকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল? তাকে যে মাইক্রোটিতে তুলে নেয়া হয়েছিল সেটি কোথায়? এসব জরুরি প্রশ্নের উত্তর এখনই মিলছে না বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
শারীরিক ও মানসিকভাবে এখনো বিপর্যস্ত ফরহাদ মজহার। তাকে কারা অপহরণ করেছিল তা নিয়ে তিনি যেমন ধোঁয়াশার মধ্যে, তেমনি পুলিশ গোয়েন্দারাও। অনেক প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন তারা। এ দিকে ফরহাদ মজহারকে অপহরণে দায়েরকৃত মামলার তদন্তভার মহানগর ডিবিকে দেয়া হয়েছে। ফরহাদ মজহার মুক্ত হওয়ার পরপরই বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পারিবারিক সদস্য ছাড়া গতকালও তার সাথে তেমন কেউ দেখা করতে পারেননি। ফরহাদ মজহারের পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি এখনো অনেকটা কাহিল। যে কারণে ডাক্তার তাকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। ফরহাদ মজহারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তার ওপর দিয়ে ভীষণ একটা ধকল গেছে। এখনো তিনি অনেক কিছুই মনে করতে পারছেন না। এ দিকে ফরহাদ মজহারকে অপহরণের বিষয়ে আদাবর থানায় যে মামলা হয়েছে গতকাল বুধবার তার তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ন্যস্ত হয়েছে বলে জানান মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেলের ডিসি মাসুদুর রহমান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্তভার ন্যস্ত হওয়ার আগেই তদন্ত শুরু করেছে ডিবি। এ দিকে ফরহাদ মজহারকে অপহরণ এবং তাকে উদ্ধারের ঘটনায় সৃষ্ট অনেক প্রশ্নের সুরাহা হয়নি। আবার কিছু কিছু বিষয়ের উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ, আদালত এবং পারিবারিক সূত্রে পাওয়া গেছে। প্রশ্ন ছিল ফরহাদ মজহার অতো সকালে কেন বের হয়েছিলেন। পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ মজহারের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তিনি ঘুম থেকে জেগে কম্পিউটার টেবিলে বসেছিলেন। কিন্তু চোখে ঝাপসা দেখছিলেন। তার মনে হলো চোখের ড্রপটা তার নেই। চোখের ড্রপ কিনতে তিনি কাছের একটি ফার্মেসিতে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। ওই ফার্মেসিটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। তিনি ফার্মেসিতে যাওয়ার পথে তিন ব্যক্তি তাকে টেনেহিঁচড়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তাকে মাইক্রোবাসের সিটে বসতে দেয়া হয়নি। সিটের নিচে বসিয়ে রাখা হয়। এ সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয় বলে জানা গেছে। তখন তিনি মোবাইলটি বের করে স্ত্রী ফরিদা আখতারকে ফোন দেন। ফরিদা ফোন রিসিভ করার পরে যে কথা তিনি বলতে পেরেছেন তা হলো, ‘ওরা আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, আর তখনই অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে মোবাইলটি কেড়ে নেয়। তখন তার চোখ বেঁধে ফেলা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাকে কোথায় নেয়া হচ্ছে, কারা নিয়ে যাচ্ছে এসব কিছু বুঝতে পারছিলেন না ফরহাদ মজহার। তবে তাকে যে ঢাকার বাইরে নেয়া হচ্ছে সে বিষয়টি তিনি বুঝতে পারছিলেন। যখন তার চোখ খোলা হয় তখন তিনি খুলনায়। চোখ খোলার পরে তিনি অনেকক্ষণ ভারসাম্যহীন ছিলেন। হঠাৎ আলোর মধ্যে পড়লে যা হয়। কিছুক্ষণ পরে তাকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। তখন সন্ধ্যা। যারা তাকে অপহরণ করেছে তারা একটি হোটেল দেখিয়ে বলে খেয়ে আসার জন্য। বলে দেয়া হয় তারা আশপাশেই আছে। তাকে অনুসরণ করছে। তিনি ওখানে খাওয়ার সময় আলোতে গিয়ে বসেন যাতে অন্যরা তাকে দেখতে পান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ সময় দু-চারজন তার দিকে তাকায়। কিন্তু কারা বুঝতে পারেননি তিনি। তারা অপহরণকারী না সাধারণ মানুষ বোঝা যায়নি। অপহরণকারীরাই হোটেলের বিল পরিশোধ করে। জানা গেছে, হোটেল থেকে বের হওয়ার পরে তাকে আর মাইক্রোতে না তুলে একটি রিকশায় তোলা হয়। অপহরণকারীরা আবারো বলে দেয় তারা অনুসরণ করছে। অপহরণকারীরা তাকে সোজা বাস কাউন্টারের দিকে যেতে বলে। এরপর তিনি কাউন্টারে গেলে কয়েকজন লোক তাকে পেছনের একটি সিটে বসিয়ে দিয়ে আসে। তারা অপহরণকারীদের সহযোগী কি না তা জানা যায়নি। তবে কিভাবে ফরহাদ মজহারের কাছে বাসের টিকিট এসেছে তা তিনি বলতে পারেননি। তিনি শুধু মনে করেছেন অপহরণকারীরা তাকে অনুসরণ করছে। ওই বাসে যখন তুলে দেয়া হয় তখন বাসে কোনো যাত্রী ছিল না। এরই মধ্যে কোনো এক সময় তারা ফরহাদ মজহারকে একটি ব্যাগ ধরিয়ে দেয়। কখন এটি তার হাতে দেয়া হয় তা খেয়াল নেই। পরে পুলিশের সিজার লিস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝোলা টাইপের ব্যাগের মধ্যে প্রিন্টের লুঙ্গি, প্রিন্টের পাঞ্জাবি ও কিছু টাকা ছিল। টাকার নোটগুলো নতুন। শ্যামলী রিং রোডের বাসা থেকে ফরহাদ মজহার যখন বের হয়েছিলেন তখন তার সাথে কোনো ব্যাগ ছিল না। সিসি ফুটেজে দেখা গেছে তিনি পাঞ্জাবির পকেটে হাত ঢুকিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। উদ্ধারের পর তার কাছে ব্যাগ পাওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এ দিকে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় কিছু প্রশ্নের জবাব মিললেও এখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুরই জবাব পাওয়া যাচ্ছে না। ফরহাদ মজহারের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও প্রশ্ন হলো আসলে ফরহাদ মজহারকে কারা এবং কী উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল? তারা ফরহাদ মজহারকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল? তারা কেন ফরহাদ মজহারকে সীমান্তের দিকে নিয়ে যাবে? তারা কি ফরহাদ মজহারকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল? তাকে যে মাইক্রোটিতে তুলে নেয়া হয়েছিল সেটি কোথায়? এসব জরুরি প্রশ্নের উত্তর এখনই মিলছে না বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে।