প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন: শাহ নেওয়াজ
স্টাফ রিপোর্টার:আসন্ন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে সেটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।
মঙ্গলবার নিজ দফতরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ।
শাহ নেওয়াজ বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাদৃশ্য কোন প্রতীক নতুন নিবন্ধন পাওয়া দলকে দেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়াও দলগুলোর কাউন্সিলের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি।
তিনি বলেন, বিগত সকল জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙখলা বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করেছে। প্রয়োজনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদেরকে মোতায়েন করা হবে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিবেচনায় নেবে কমিশন।
ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) নির্বাচন সংক্রান্ত এক জরিপের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শাহ নেওয়াজ বলেন, সেনাবাহিনীর বিষয়টি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইডব্লিউজি সংসদ নির্বাচনের ১১৮টি আসনে জরিপ করে দেখেছে দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষই নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন চায়।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের মালামালসহ সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিদিনই নির্বাচনী মালামাল ইসিতে আসছে। আশা করছি, যথাসময়ে সকল মালামাল এসে পৌঁছাবে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে এবং যেতে হলে অবশ্যই নিবন্ধিত সব দলকে নির্বাচনে আসতে হবে এবং তারা নির্বাচনমুখী হবেন। কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা করার তাই করছে। কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে প্রস্তুত তা জনগণকে আশস্ত করতে চায়। আর সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণের আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করবো। তবে তফসিল ঘোষণার সময় নির্ধারণ এখনো করা হয়নি। কমিশনে বসে তা চূড়ান্ত করা হবে।
বিতর্কিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোন একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দেবে না ইসি। এমনকি কোনো ধরনের অনুকম্পা বা বাড়তি সুবিধা দেয়ার সুযোগ নেই ইসির। এমনকি কোন অবস্থাতে নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দলের সাদৃশ্য প্রতীকও দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
নতুন যারা নিবন্ধিত হবেন তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় রেখে নিবন্ধনের সনদ দেয়া হবে। এ ব্যাপারে সহসাই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শাহ নেওয়াজ বলেন, কাউন্সিলের সময় চেয়ে দুই-একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দরখাস্ত এসেছে। এ বিষয়ে কমিশন এখনো কোনো বৈঠকে বসেনি।