প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী ফেনীতে
প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী ফেনীতে
ফেনীর এক যুবকের প্রেমের টানে সীমানা পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে পালিয়ে বিয়ে করেছেন ভারতীয় তরুণী অঙ্কিতা মজুমদার (২২)। আটকের পর অঙ্কিতা মজুমদারকে আদালতে হস্তান্তর করলে আদালত তার হবু স্বামী হৃদয় মজুমদারের সঙ্গে থাকতে সম্মতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকার। অঙ্কিতা ভারতের আসামের দ্বিব্রুঘর এলাকার অভিজিৎ মজুমদারের মেয়ে। প্রেমিক যুবক হৃদয় মজুমদার কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট থানার বরুড়া এলাকার বাবুল মজুমদারের ছেলে। পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুরে নানার বাড়ি বেড়াতে আসেন অঙ্কিতা মজুমদার (২২)। তখন ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ুয়া হৃদয় মজুমদারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ফেসবুকে কথা চালাচালির একপর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এক মাসের ভিসার মেয়াদে বাংলাদেশে এসে অঙ্কিতা নানার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অঙ্কিতার মামা পিকলু সাহা ফেনী মডেল থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ভূঞা জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অঙ্কিতাকে ঢাকার উত্তরা এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় তার হবু স্বামী দাবি করা হৃদয় মজুমদারকে আটক করে। অঙ্কিতা চাইছেন স্বামীর সঙ্গে থাকতে। যেহেতু থানায় জিডি হয়েছে এবং দুই পরিবারের মাঝে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে পাঠিয়েছি। গত বুধবার তাদের উভয়কে ঢাকা থেকে ফেনী মডেল থানার মাধ্যমে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত উভয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের নিজ জিম্মায় তুলে দেন।
এদিকে অঙ্কিতার মা রুমা মজুমদার বলেন, আমি অঙ্কিতা-হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে জানতাম না। আমি মেয়েকে ফেরত নিয়ে যেতে চাই। ওর পড়াশোনা শেষ হয়নি, পড়াশোনা শেষ হলে তাকে ছেলের হাতে তুলে দেবো। অপরদিকে হৃদয়ের বাবা বাবুল মজুমদার বলেন, ছেলেমেয়ে দু’জনই প্রাপ্তবয়স্ক। ছেলে ভুল করেছে। কিন্তু আমার একটাই ছেলে। তাই ভুল করলেও মেনে নিচ্ছি।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকার বলেন, গত ১৩ই মে রাজধানীর মিরপুর-১ এলাকায় হৃদয়ের সঙ্গে অঙ্কিতা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। আদালতের সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশের ভিসার মেয়াদ থাকায় প্রাপ্তবয়স্ক অঙ্কিতাকে নিজ জিম্মায় দিয়েছে পুলিশ। অঙ্কিতা এ সময় স্বামীর কাছে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।