প্রেমিক জুটির অবৈধ মেলামেশার দৃশ্যের ভিডিও ॥ পুলিশের আটক বানিজ্য
বরিশাল প্রতিনিধি ॥ প্রেমিকার সাথে অবৈধ মেলামেশার সময় মোবাইল ফোন ও ল্যাপটবে তা ভিডিও ধারন করেছে প্রেমিক টমাস সরকার। স্থানীয়রা ওই প্রেমিক জুটিকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করার পূর্বে প্রেমিক জুটির অসামাজিক কর্মকান্ডের ভিডিও’টি তাদের মোবাইল ফোনে নিয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন। পরবর্তীতে এনিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের শুরু হয় আটক বানিজ্য। ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনের পরিচয়ের সূত্রধরে উপজেলার ফুল¬শ্রী গ্রামের ইদ্রিস সরদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাঠকর্মী রিঙ্কু ঘটকের সাথে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার নিত্যানন্দপুর গ্রামের রতন সরকারের পুত্র টমাস সরকারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সুবাধে গত রবিবার প্রেমিক টমাস সরকার রিঙ্কুর বাসায় বেড়াতে আসে। ওইদিন রাতে প্রেমিক জুটি অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হয়ে পরে। প্রেমিকা রিঙ্কুর সাথে অবৈধ মেলামেশার সময় নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটবে তা ভিডিও ধারন করে প্রেমিক টমাস সরকার। ওইদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে স্থানীয় কতিপয় যুবকেরা প্রেমিক জুটিকে আটক করে। এসময় তাদের অবৈধ মেলামেশার ভিডিও চিত্রগুলো মোবাইল ফোন ও ল্যাবটব থেকে ব¬ু-টুথের মাধ্যমে নিজ নিজ মোবাইলে নেয় ওই যুবকেরা।
স্থানীয় বাকাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপুল দাস জানান, খবর পেয়ে তিনি ও ইউপি সদস্য আসাদ খলিফা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটক প্রেমিক জুটিকে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দু’দিন প্রেমিক জুটিকে থানায় আটক রেখে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সোমবার গভীর রাতে পুলিশ প্রেমিকা রিঙ্কু ঘটককে ছেড়ে দিলেও গতকাল মঙ্গলবার প্রেমিক টমাস সরকারকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোর্পদ করেছেন। সূত্রমতে, অতিসম্প্রতি একটি হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে বাকাল ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেও উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের একের পর এক আটক বানিজ্যের ঘটনায় উপজেলার সর্বত্র চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আটক বানিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে থানার এস.আই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আটককৃত রিঙ্কু ঘটকের কোন অভিযোগ না থাকায় তাকে তার বাবার জিম্মায় দিয়ে টমাস সরকারকে ৫৪ ধারায় মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।