প্রাণিসম্পদ গবেষণার ভারপ্রাপ্ত ডিজি জাহাঙ্গীর হোসেন ব্যাপক ঘুষ, দূনীর্তি ও ত্রাসের রাজ্যত্ব কায়েম করে চলেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার: দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে গবেষণার একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) এর ভারপ্রাপ্ত ডিজি জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার স্ত্রী পরিচালক— ড. নাছরিন সুলতানা ও তাদের সিন্ডিকেট বাহিনী দ্বারা গড়ে তুলে ঘুষ, দূনীর্তি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন। সূত্রে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত ডিজি জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরেই নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার ও বিএলআই এর সকল কেনাকাটা সহ ব্যাপক অনিয়ম, দূনীর্তি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ভুয়া ভাউচার বানিয়ে। সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদে সর্বমোট ২২টি পদে নিয়োগের প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বিএলআরআই। তাদের মনের মত নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদেকে প্রতি প্রাথী হইতে মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে চাকরি প্রদান করেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়াও তিনি বিগত সময় প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন উক্ত প্রকল্পের কাজ না করে ভুয়া বিল—ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যা প্রকল্পের ভাউচার যাচাই—বাছাই করলে প্রমাণিত হবে। প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন প্রকল্পের আউটসোর্সিং কর্মচারী তানিয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্ক লিপ্ত হয়ে পড়েন ডিজি জাহাঙ্গীর হোসেন। তৎকালীন সেই সময়ে তারই স্ত্রী ড. নাসরিন সুলতানা স্বামী বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ডিজি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়, সাবেক মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সে সময়ে ড. জাহাঙ্গীর হোসেন এর বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী ঘটনা থামাচাপা দিয়েছেন অদৃশ্য শক্তির বলে তদন্তের কোন নাম গন্ধ শোনা যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএলআরআই এর একাধিক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান প্রায় সময় অফিস সময়ের পরে নিত্য—নতুন মেয়েদের আনাগোনা দেখা যায় মহাপরিচালকের রুমের ভিতরে। এছাড়াও অনিয়ম কে নিয়ম মেনে তাদেরকে কাজ করতে হয়।
মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা সচিবের সাথে রয়েছে নাকী তার গভীর সখ্যতা। যে কারনে তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করে প্রতিকার পাবে না বলে প্রকাশ্য বলে থাকেন ভারপ্রাপ্ত ডিজি জাহাঙ্গীর। সূত্র মতে তার অধীনে সকল প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দের বিল প্রদানের বিপরীতে ৫% ঘুষ দিতে হয় ডিজি জাহাঙ্গীর কে। যে সকল কর্মকর্তা তার এই অনৈতিক ঘুষ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করে থাকেন বলে সূত্রে জানা যায়। মহাপরিচালকের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত ডিজি জাহাঙ্গীর হোসেন বিএলআরআই এর অতিরিক্ত একাধিক ফ্ল্যাট দখল করে রেখেছেন তিনি। ডিজি জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানার ভয়ে কেউ তাদের এই অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। সকল কর্মকর্তাকে জিম্মি করে রেখেছেন ডিজি জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা ও তাদের সিন্ডিকেট বাহিনী। নিয়োগ বাণিজ্য সহ অবৈধভাবে নানান পন্থায় ভুয়া বিল—ভাউচার বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ডিজি জাহাঙ্গীর হোসেন। যা দুদক, মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্ত করলে অভিযোগ প্রমাণিত হবে বলে একাধিক কর্মকর্তাগণ এই প্রতিবেদক কে জানান। উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে ডিজি জাহাঙ্গীরের মোবাইলে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়ার কারণে তার কোন মতামত পাওয়া যায়নি। (চলবে)