প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক পদের দায়িত্ব প্রাপ্তির জন্য দূনীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদারের দৌড়ঝাপ শুরু।
নিজস্ব সংবাদ দাতা: অবসর জনিত কারনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহা—পরিচালকের পদটি আগামী ২৬/১২/২০২২ ইং তারিখে শুন্য হতে যাচ্ছে। পদটিতে বর্তমানে নিয়োজিত কর্মকতার্ ডা: মুনজুর মোহাম্মদ শাহাজাদা আগামী ২৬/১২/২০২২ ইং তারিখে অবসরে যাবেন। ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদার গোপাল গঞ্জের কোটালী পাড়ার বাসিন্দা হলেও ছাত্রজীবনে জাতীয় ছাত্রসমাজের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এবং বিয়ে করেছে জাতীয় পাটির তৎকালীন মন্ত্রী ড. টি আই এ ফজলে রাব্বী চৌধুরীর ভাগ্নী। ডাঃ এমদাদুল হক তালুকদার একজন অযোগ্য, অদক্ষ দূনীতিবাজ কর্মকতার্ হিসাবে পরিচিত হলেও এবং চাকুরী জীবনে (জাতীয় পাটির পরে) সরাসরি রাজনীতি নাকরেও সুযোগ সন্ধানী ও সুবিধাবাদী হিসাবে সব সময় সরকারী দলের নেতাদের সাথে চলাফেরা করত। তাই বিএনপির শাসন আমলে ভাল ভাল স্টেশনে চাকুরী করেছিল এবং বর্তমানেও করে আসছে। পরিচালক প্রশাসনের পদটি ও তিনি বাগিয়ে নিয়েছেন গোপাল গঞ্জের নেতাদের ব্যবহার করে।
ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদার ঢাকা জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার হিসাবে প্রায় ৬ বসর দায়িত্ব পালন করেছে গোপালগঞ্জের পরিচয়ে। ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতার্ হিসাবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সে খামারীদের নিকট হতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, মোবাইল কোট পরিচালনা করে এর ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন খাদ্য/ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে আর্থিক সুবিধা গ্রহন, সরকারী বরাদ্দের টাকা যথাযথ ভাবে খরচ না করে ভুয়াবিল ভাউচার দেখাইয়া আত্নসাৎ করা, পরিদর্শনকালে সরকারী গাড়ী ব্যবহার করার পরেও অবৈধ ভাবে টিএ/ডিএ এর বিল উৎত্তোলন করে টাকা আত্নসাৎ করা, প্রশিক্ষনের নামে ভুয়া মাষ্টার রোল দেখাইয়া সরকারী টাকা আত্নসাৎ করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদার ব্যক্তি বিশেষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নগদ ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মোবাইল কোটের মাধ্যমে দেশের স্বনাম ধন্য এ্যাডভান্স এনিমেল সায়েন্স এর মালিক সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ডা: মুনজুর মোর্শেদ খানকে হেনস্তা করেছিলেন যা এদেশর সকলেই জানে। সংশ্লিষ্ঠদের দাবী ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদার জেলা অফিসার হিসাবে যোগদানের আগে ও পরেশ্রী নগর, কোটালী পাড়া, ঢাকার সাভারে এবং শশুরবাড়ী গাইবান্ধায় অঢেল সম্মত্তি অর্জন করেছে। ঢাকায় তার নিজস্ব ফ্লাট থাকার পরেও মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে সরকারী বাসায় বসবাস করছে। ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদার তার ছেলেকে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে পড়াইয়াছে এবং মেয়েকেও বেসরকারী বিশ্ব—বিদ্যালয়ে পড়াচ্ছে।
ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদার পরিবারটিই দূনীতিগ্রস্থ। জেলা অফিসার হওয়ার আগে ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদার শ্রীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার হিসাবে এবং তার স্ত্রী ডা: হাসিনা নার্গিস কেয়াভিএস হিসাবে কর্মরত ছিল। ডা: এমদাদ জেলা অফিসার হিসাবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তার স্ত্রীকে শ্রীনগর উপজেলায় উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার হিসাবে পদায়ন করা হয়। ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদার ও তার স্ত্রীর নামে শ্রীনগর উপজেলায় কয়েক বিঘা জমি রয়েছে এবং একটি বাড়ী ও রয়েছে। তার স্ত্রী শ্রীনগর উপজেলার উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকতার্ হিসাবে দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে সরকারের কয়েক লক্ষ টাকা লুটপাটের সাথে জড়িত ছিল যা এখন ও অমিমাংশিত। কিন্তু ডা: এমদাদ প্রভাব খাটিয়ে তার স্ত্রী পেনশন মঞ্জুরী করাইছে। ডা: এমদাদরা ৫ ভাই ও ৩ বোন। এক ভাই জাহিদ হাসান তালুকদার, ছাত্র জীবনে ছাত্র দলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। সে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে যশোরে ভিএফএ হিসাবে কর্মরত। তার বিরুদ্ধেও অনৈতিক লেনদেনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এবং সেও প্রায় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অধিকারী কিন্তু ডা: এমদাদের কারনে কেহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস পায়না।
ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদার পরিচালক প্রশাসন হিসাবে যোগদানের পূর্বে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়নাধীন সক্ষমতা জোরদার করন প্রকল্পের পিডিছিল। প্রায় ৩ বসর পিডির দায়িত্ব পালন করলেও তার অযোগ্য, অদক্ষতা ও দূনীতির কারনে প্রকল্পের অর্জন মাত্র ৫%। ঐসময়ে ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদার প্রকল্পের মূলকার্য্যক্রম অবকাঠামো উন্নয়নের কোন কাজ না করে শুধু মাত্র ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য জরুরী প্রয়োজন না হলেও প্রায় ২০ কোটি টাকার ফ্রিজ/আসবাবপত্র/কোল্ডরুম/কমপিউটার ক্রয় করেছে। শুধুমাত্র ৪টি কোল্ড রুম জরুরী ক্রয়ের প্রয়োজন হলেও ২ দফায় অধিক মূল্যে ৬৪টি কোল্ডরুম ক্রয় করেছে। অন্যান্য মালামাল গুলি নিম্নমানের হওয়ায় ইতো মধ্যে ব্যবহারের অয়োগ্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০ কোটি টাকার ক্রয়ে ডা: এমদাদুলহক তালুকদার প্রায় ৪ কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা গ্রহন করেছে বলে অধিদপ্তরের কর্মকতার্ ও পিডিদের পক্ষ থেকে দূনীতির বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ কেও বিগত ১৬/১১/২২ ইং তারিখে দূনীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ করেছে এবং বিষয়টি বর্তমানে তদন্তানাধীন রয়েছে বলে দুদুক থেকে জানা যায়।
ডা: এমদাদুলহক তালুকদার বর্তমান গ্রেডেশন তালিকায় ২য় স্থানে রয়েছে। তার অদক্ষতা , অযোগ্যতা ও দূনীতির বিসয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পাওয়া সমস্যা হতে পারে ভেবে সে গোপাল গঞ্জের কোটালী পাড়ার ও গোপালগঞ্জের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তির নিকট ধন্যা দিচ্ছে এবং তদবির করাচ্ছে বলে একাধিক সুত্রনিশ্চিত করেছে। এছাড়া ডিজির দায়িত্ব পাওয়ার পরে এসকল নেতাদের বিভিন্ন টেন্ডারের কাজ পাইয়ে দিবে বলে আসশস্থ করছে এবং অবৈধ ভাবে অর্জিত টাকা হতে তাদের পিছনে খরচ করা শুরু করেছে।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে ডা: মো: এমদাদুলহক তালুকদারের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান উৎথাপিত অভিযোগ গুলি সব মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমার সততা ও যোগ্যতার কারনেই কর্তৃপক্ষ আমাকে পরিচালক প্রশাসনের পদের দায়িত্ব দিয়েছে। ডিজি হওয়ার বিষয়ে কোন তদবির বা কাহাকেও দায়িত্ব প্রদান করিনি। কর্তৃপক্ষ যাকে খুশী দায়িত্ব দিতে ইপারে।
এ ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের মোবাইলে ফোন করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান আমি নুতন দায়িত্ব নিয়েছি। না জেনে কোন কিছু বলতে পারবনা। তবে কেহ যদি অনিয়ম দূনীতি করে থাকে এবং তদন্তে প্রমানিত হয় তাহলে কাহাকেও ছাড় দেয়া হবেনা। এব্যাপারে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের ও সুনিদিষ্ঠ নির্দেশনা রয়েছে। চলবে……….