প্রাইম ব্যাংককে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ
ঢাকা: প্রাইম ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসএমজি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘ইজি ক্যাশে’ ২ হাজার ৫০০ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে জামানত বাবদ ২৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রাইম ব্যাংককে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জামানতের সমুদয় অর্থ ভুক্তভোগীদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, এসএমজি ইনফোকম পদ ভেদে নিয়োগপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া জামানতের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাইম ব্যাংককে একটি চিঠি দিয়েছে।
এর আগে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রাইম ব্যাংকের মনোগ্রাম সংবলিত বিজ্ঞাপন প্রচার করায় চাকরির বিষয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। জামানতের টাকা আত্মসাৎ করে এসএমজি ইনফোকম অনৈতিকভাবে তাদের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু প্রাইম ব্যাংক প্রতারণার বিষয়টি জানার পরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করেনি। সুতরাং ব্যাংকের নাম ও লোগো ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে সংগৃহীত এবং আত্মসাৎকৃত অর্থ পরিশোধের দায়ভার এসএমজি ইনফোকমের পাশাপাশি প্রাইম ব্যাংকের ওপর বর্তায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সংশোধিত নীতিমালা ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক কার্যকলাপের দায় প্রাইম ব্যাংক এড়াতে পারে না।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, এসএমজি ইনফোকমের কার্যালয় বন্ধ থাকায় জামানতের টাকা আদায় সংক্রান্ত কোনো নথি উদ্ঘাটন করা যায়নি। ফলে প্রতারণার মাধ্যমে আদায়কৃত টাকার পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে ব্যাংকের বিভিন্ন নোটিংয়ে দেখা যায়, এসএমজি ইনফোকম পদ ভেদে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত নেওয়া হয়েছে। গড়ে জনপ্রতি এক লাখ টাকা করে নিলেও মোট সংগৃহীত টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ কোটি টাকা। এসএমজি ইনফোকমের ৩০ জুন ২০১৩ ভিত্তিক ব্যালান্সশিটে সংগৃহীত জামানতের স্থিতি ১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ছিল। কিন্তু প্রাইম ব্যাংক চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে জামানত বাবদ ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার কথা বলছে।
এ প্রসঙ্গে প্রাইম ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালাউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদেরকে ২৫ কোটি টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এর পরিমাণ ২৫ কোটি টাকা হবে না।
তিনি দাবি করেন, এ টাকা সরাসরি আমরা নিইনি, নিয়েছে এসএমজি গ্রুপ। তাই টাকার সঠিক পরিমাণ বলতে পারছি না।