প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে, বিক্ষোভের চেষ্টা বিএনপির
ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪০জন সফরসঙ্গী নিয়ে আজ সোমবার সকালে (স্থানীয় সময় ) নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। এ সময় জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আসা যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা হয়। বিমানবন্দরে বিএনপি ও জামায়াত বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে।
প্রথম আলো জানিয়েছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তবে বরাবরের মতো এবারও বিমানবন্দরের টার্মিনালে বিএনপি ও জামায়াত বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে। দুই পক্ষই এ সময় স্লোগান ও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে আসা যুক্তরাষ্ট্রের যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যেও উত্তেজনা শুরু হয়। তাঁরা একে অপরকে গালাগালি করতে থাকে। তবে কড়া নিরাপত্তার কারণে কোনো পক্ষকেই টার্মিনালের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে টার্মিনালের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ, জিল্লুর রহমান, আখতার হোসেন, আব্দুল কাইয়ুমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি নেতারা বলেন, নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি কর্মসূচি লক্ষ্য রেখে তাঁরা বিক্ষোভ করবেন।
পরে বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সফরসঙ্গীদের ম্যানহ্যাটনের পার্ক এভিনিউ গ্রান্ড হায়াত হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। ওইদিন তিনি নিউইয়র্কের বাংলা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। ২৮ সেপ্টেম্বর প্যালেস হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকটিকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ওইদিন বিকেলে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। মাত্র ২০মিনিটের ওই বৈঠকে নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কি-না তা জানা যায়নি। তবে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ থেকে বর্ধিত সংখ্যক সেনা-পুলিশ নিয়োগ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। ওইদিন সন্ধ্যায় হিলটন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীকে। এ উপলক্ষে সংবর্ধনা মঞ্চ ও মিলনায়তনে সরকারের সাফল্য নিয়ে ৭৪টি বিশাল বিলবোর্ড শোভা পাবে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় তাঁরা সড়কপথে শান্তি সমাবেশ করবেন। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সে সময় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকায় পৌঁছাবেন।