প্রধানমন্ত্রীর দূত হয়ে বাসায় ফিরলেন এরশাদ
ঢাকা: চিকিৎসার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল তাকে। এক মাস পর তিনি ‘হাসপাতালের বিছানা’ থেকে বাসায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হয়ে। রোববার সন্ধ্যায় তার বারিধারার বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে পৌঁছান জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
এর আগে তিনি বিকেলে সিএমএইচ থেকে বঙ্গভবনে যান নতুন মন্ত্রিপরিষদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সন্ধ্যায় তাকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্ক থেকেই এরশাদকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)নিয়ে যায় র্যা ব। তখন র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে নতুন বার্তা ডটকমকে জানানো হয়েছিল, এরশাদের পায়ের কোনো এক জায়গায় সমস্যা হয়েছে, তার চিকিৎসার জন্য র্যা ব পাহারায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৩-৭৬৬৫ নম্বরের গাড়িতে করে রাজধানীর বারিধারায় তার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে ফেরেন এরশাদ। এর আগে শনিবার সিএমএইচ থেকে সংসদ ভবনে গিয়ে স্পিকারের কক্ষে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। রোববার বিকেলে বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি। সেখান থেকে বের হয়ে তিনি সরাসরি প্রেসিডেন্ট পার্কে যান।
গত ৩ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। নির্বাচনে যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে নানা নাটকীয়তার জন্ম দেন তিনি। এরপরই তাকে চিকিৎসার জন্য সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
জাপার নেতাকর্মীরা অবশ্য ‘সিএমএইচে আটক’ এরশাদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগায়। রাজধানীতে বিক্ষোভ করতে গেলে জাপার নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
সিএমএইচে থেকেই রংপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এরশাদ। টানা এক মাস সেখানে অবস্থানের পর শনিবার সংসদে গিয়ে স্পিকারের কক্ষে শপথ নিয়ে আবার সিএমএইচে ফিরে যান এরশাদ।
রোববার সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এরশাদকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত করা হয়েছে।