প্রত্যাশিত পয়সারহাট সেতুর উদ্বোধন আজ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেবেন লক্ষাধিক হাসানাত সমর্থকেরা
প্রেমানন্দ ঘরামী ॥
দেশের দক্ষিন ও দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি মানুষের বহুদিনের প্রত্যাশিত বরিশালের গৌরনদী-গোপালগঞ্জ ভায়া আগৈলঝাড়া, পয়সারহাট মহাসড়ক এবং পয়সারহাট সেতুর আজ মঙ্গলবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষ্যে আগৈলঝাড়ার পাশ্ববর্তী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট তেলিহাটি স্কুল মাঠে (প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকায়) বিকেল তিনটায় আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির ভাষণে কাঙ্খিত পয়সারহাট সেতু ও গৌরনদী-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
ফলে আজ থেকে বরিশালের সাথে গোপালগঞ্জ হয়ে খুলনার দুরত্ব কমে যাবে প্রায় দেড়’শ কিলোমিটারেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বরিশাল জেলার দশ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। আগৈলঝাড়া উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে পয়সারহাট সেতুর পশ্চিম প্রান্তে নির্মান করা হয়েছে একাধিক তোরন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস-এমপি জানান, সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্ল¬াহর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বরিশাল থেকে প্রায় লক্ষাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা যোগদান করবেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক সৈকত গুহ পিকলু জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে (১৯৯৬সালে) তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল¬াহর আপ্রান চেষ্ঠায় গৌরনদী-গোপালগঞ্জ ভায়া আগৈলঝাড়া, পয়সারহাট মহাসড়কসহ পয়সারহাট নদীর ওপর ১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম পয়সারহাট সেতু নির্মানের কাজ শুরু করা হয়। ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর রহস্যজনক কারনে পুরো কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে পূণরায় আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর প্রানন্তর চেষ্ঠায় পুরো কাজ শুরু করে দ্রুত তা সম্পন্ন করা হয়। ইতোপূর্বে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কয়েক দফা সরেজমিনে কাজ পরিদর্শন করেছেন।