‘প্রতিনিধিত্বকারীদের নিয়েই সরকার’
প্রতিবেদক : সংসদে যেসব দলের প্রতিনিধি আছে তাদের মধ্য থেকেই সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার রাতে গণভবনে জাতীয় পার্টি-জেপির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বদলীয় সরকার থাকবে। সংসদে যাদের প্রতিনিধি আছে তাদের নিয়েই। কারো মনে যেন সন্দেহ না থাকে। নির্বাচনটা কীভাবে হয় সেটা যেন সকলে দেখতে পারে।
বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটা জায়গা থেকে শুরু করতে চাই আর তা হলো আগামী প্রজন্মের জন্য। তাদের যেন কষ্ট না হয়। একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে যেন ক্ষমতার পরিবর্তন হয়।
বৈঠকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাংবিধানিক ধারা পক্ষে তার দলের অবস্থানের কথা তুলে ধরে বলেন, জাতীয় পার্টি সাংবিধানিক ধারার পক্ষে ছিল। এখনো আছে। আমরা চাই সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত থাকুক। সাংবিধানিক ধারায় নির্বাচন হলে, আমরা নির্বাচনের পক্ষ।
তিনি বলেন, একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ সমন্বিতভাবে মোকাবেলা করা উচিত।
সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নিজের যৌক্তিকতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আগামীতে সংবিধানসম্মত ভাবে নির্বাচন করতে চাই। বাংলাদেশের আমরা এটা শুরু করতে চাই।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুসরণ না করে বিএনপি রাষ্ট্রপতিকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করে। এরপর, উপদেষ্টাদের পালাবদলের এক পর্যায়ে ওয়ান ইলেভেন আসে।
বৈঠকে উপস্থিত আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাকেও দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়। আর, আমাকে দেশে ফিরতে দেয় নাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে সংবিধানিক ভাবে ক্ষমতার বদল হতে হবে।
বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তাকে দাওয়াত দিলাম। আর, জবাবটা কি পেলাম। আপনাদের জানা আছে।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ না নিলে হরতাল দেওয়ার বিরোধীদলের ঘোষণার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যাতে কষ্ট না পায়- সেজন্য উপযাজক হয়ে তাকে ফোন করলাম। উনি মানলেন না।