প্রচারণা শেষ, কাল ভোট

29/12/2015 12:29 pmViews: 7
প্রচারণা শেষ, কাল ভোট

 

দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় কাল বুধবার ভোট। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। এখন ভোটের হিসাব মেলাচ্ছেন প্রার্থীরা। দেশে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। এ সুযোগে সাত বছর পর আওয়ামী লীগ, বিএনপির প্রার্থীরা নৌকা এবং ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর উভয় দলই তাদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করে জনপ্রিয়তা প্রমাণে মরিয়া। এ অবস্থায় ভোটের দিন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি শংকাও বিরাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ২০টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে নির্দলীয়ভাবে। এ নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ১২ হাজার ১৭১ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরই মধ্যে ৭ জন মেয়র, ৯৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪০ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলরসহ মোট ১৪১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ছোট-বড় সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আচরণবিধি লংঘনের ঘটনা ঘটেছে অনেক। মন্ত্রী-এমপি, প্রার্থীদের অনেকেই নানাভাবে বিধি ভেঙেছেন। সংঘর্ষ এবং বিধি লংঘনের ঘটনায় ভোটের আগেই মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যে কারণে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। তবে নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে ভোট হবে শান্তিপূর্ণভাবে। এজন্য তারা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।

এদিকে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তা ঝুঁকি ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বিবেচনায় লক্ষাধিক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ও সাধারণ দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উভয় ধরনের কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই টহল শুরু করেছেন মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা। এছাড়া ১ হাজার ২০৪ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। তারা আইন ও বিধি লংঘনকারীদের সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে সাজা দিতে পারবেন।

আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালটসহ নির্বাচনী মালামাল পৌঁছে যাবে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে প্রায় এক হাজার ২০০ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। নির্বাচনী মাঠে ২ হাজারের বেশি সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে বলেও আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে সোমবার থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃংখলা মনিটরিংয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীনকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ইসি। এ কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একজন কর্মকর্তা সদস্য হিসেবে থাকবেন।

কমিশনের মতে, এ নির্বাচনে আচরণবিধি লংঘন ও ছোটখাটো বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংঘাত হয়নি। প্রার্থীরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যেই প্রচারণা চালিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ স্বস্তিতে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণও সুষ্ঠুভাবে হবে বলে আশ্বস্ত করে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ সোমবার বলেছেন, আমরা পর্যাপ্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছি। ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, এতে কোনো সমস্যা হবে না।

কমিশনের আশ্বাসে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা আস্থা রাখতে পারছেন না। তাদের মতে, তফসিল ঘোষণা থেকে প্রচারের শেষ সময় পর্যন্ত বেশ কিছু পৌরসভায় আচরণবিধি লংঘন, নির্বাচনী অনিয়ম ও বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও কমিশনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। উপজেলা পরিষদ এবং সর্বশেষ ঢাকার দুই ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি পৌর নির্বাচনে হওয়ার আশংকাও করছেন অনেকেই।

গোলযোগের শংকায় বাড়তি নিরাপত্তা : পৌর নির্বাচনে গোলযোগের আশংকা করে দুটি গোয়েন্দা সংস্থা ইসিতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকা বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে জঙ্গি হামলার আশংকাও প্রকাশ করা হয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা তাদের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে নাশকতা বা গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা চালাতে পারে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও একচেটিয়া ভোট লাভের আশায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীরা কিছু কেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে। নির্বাচনকে বিতর্কিত কিংবা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে বিএনপি-জামায়াত গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ভোটের পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে বা পূর্বশত্রুতার জের ধরে কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এলাকায় গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকায় গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১৮৪টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।

এ অবস্থায় পৌর নির্বাচনের নিরাপত্তায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০৪ জন সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে পুলিশ ৪৫ হাজার, বিজিবি ৯ হাজার ৪১৫ জন, র‌্যাব ৮ হাজার ৪২৪ জন, কোস্টগার্ড ২২৫ জন, অঙ্গীভূত আনসার ৪৯ হাজার ৭২৮ জন এবং ব্যাটালিয়ন আনসার ৪ হাজার ৫১২ জন। ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৮ জন অস্ত্রধারীসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর ২০ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। আর সাধারণ কেন্দ্রে ৭ জন অস্ত্রধারীসহ ১৯ জন সদস্য থাকবেন। প্রতিটি পৌরসভায় সোমবার সকাল থেকে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির মোবাইল টিম টহল শুরু করেছে।

সক্রিয় ২০২৯ সন্ত্রাসী, গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান : গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে পৌর নির্বাচনে ২ হাজার ২৯ জন সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর গডফাদার রয়েছেন ৬৩৭ জন। ওই প্রতিবেদনে কোন জেলায় কারা অবস্থান করছেন তাও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচনে এসব সন্ত্রাসী ও গডফাদাররা ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালটবাক্স ছিনতাই ও নাশকতা চালাতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। প্রতিবেদনটি ধরেই সোমবার থেকে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। তবে বিএনপি অভিযোগ করেছে, সন্ত্রাসী গ্রেফতারের নামে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। আতংকে অনেক নেতাকর্মী এলাকায় থাকতে পারছেন না।

ভোটার ও ভোটকেন্দ্র : ইসি জানায়, পৌর নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ২৮৪ জন ও মহিলা ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬০ জন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪ পৌরসভায় ৩ হাজার ৫৫৫টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট হবে। এসব ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ২১ হাজার ৭১টি। নির্বাচনে ৬৬ হাজার ৭৬৮ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৩ হাজার ৫৫৫ জন ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ২১ হাজার ৭১ জন, পোলিং কর্মকর্তা ৪২ হাজার ১৪২ জন।

বহিরাগতদের অবস্থান ও বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ : সোমবার রাত ১২টার আগেই বহিরাগতদের (যারা ভোটার বা বাসিন্দা নন) নির্বাচনী এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ভোটের দুই দিন আগে থেকে পরবর্তী আরও চার দিন পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরা যাতে অস্ত্রসহ চলাচল করতে না পারে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বৈধ লাইসেন্সধারীদের সব ধরনের অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসী-ক্যাডারদের গ্রেফতার ও ভোটের পরিবেশ নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও পুলিশকে বলা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টা যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : নির্বাচনী এলাকায় ভোটের আগের রাত থেকে শুরু করে মোট ২৪ ঘণ্টা যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা (দিবাগত মধ্যরাত) থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এরই মধ্যে এ নির্দেশনা জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এসব পৌরসভায় বেবি ট্যাক্সি, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক ও টেম্পোতে এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ২৭ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইসি ও রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদিত পরিচয়পত্রধারী, নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, জরুরি পণ্য সরবরাহ ও অন্যান্য প্রয়োজনে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে হবে।

এরই মধ্যে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ব্যালট পেপার, সিল, ফরম প্যাকেট ও অন্যান্য নির্বাচন সামগ্রী নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছেছে। এ নির্বাচনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদের ২ কোটি ১০ লাখের বেশি ব্যালট পেপার, ভোট দেয়ার সিলসহ নির্বাচন সামগ্রী পাঠিয়েছে ইসি।

প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০টি রাজনৈতিক দল : কমিশনের তথ্য মতে, ২৩৪ পৌরসভায় ১২ হাজার ১৭১ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৯৪৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮ হাজার ৭৪৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৪৮০ জন প্রার্থী হয়েছেন। ২৩৪টি পৌরসভায় ২৩৪টি মেয়র, ৭৩১টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ২ হাজার ১৯৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদ রয়েছে। এরই মধ্যে ৭ জন মেয়র, ৯৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪০ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলরসহ মোট ১৪১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। নির্বাচিতদের সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। অভিযোগ রয়েছে, এসব এলাকায় সরকারি দলের বাধার মুখে অন্য দলগুলোর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। এ কারণে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

এ নির্বাচনে ২০টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৩৪ জন, বিএনপি ২২৩ জন, জাতীয় পার্টির ৭৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ২১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৭ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৭ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ৮ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ৬ জন, কমিউনিস্ট পার্টির ৪ জন, খেলাফত মজলিসের ৪ জন, ইসলামী ফ্রন্টের ৩ জন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ, ইসলামী ঐক্যজোট, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও খেলাফত মজলিসের একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। ভোটের আগেই ৭টি পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। পৌরসভাগুলো হচ্ছে পিরোজপুর, মাদারগঞ্জ, টুঙ্গীপাড়া, ফেনী, পরশুরাম, চাটখিল ও ছেংগারচর। সংশ্লিষ্টরা জানান, নির্বাচনে ২৮৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। ইসিতে নিবন্ধন স্থগিত থাকায় জামায়াত নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের ৬৮ জন ও বিএনপির ২৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয় রয়েছেন। দলীয় প্রার্থী জয়ের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের। এরই মধ্যে বেশ কিছু পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতাও হয়েছে।

Leave a Reply