প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় দেড় শতাধিক নিহত
হামলার দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি, তবে মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করে ওঁলাদ বলেছেন, “আমরা জানি, কারা এই সন্ত্রাসী।”
অপরদিকে বিতর্কিত সাইট ইনটিলিজেন্সি দাবি করেছে, এ হামলার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আইএস জড়িত।
এদিকে ফ্রান্সের এ হামলা ঘ্টনার পর আতংকে আছে বাংলাদেশীসহ দেশটিতে অবস্থানরত মুসলিম সম্প্রদায়। বিবিসি, রয়টার্স ও সিএনএনসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
শহরের একটি কনসার্ট হলে শতাধিক লোককে জিম্মি করে রাখা হলে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়। সেখানেই অন্তত ১২০জন নিহত হয়েছেন। পুলিশকে সহায়তা করতে প্যারিসে অন্তত দেড় সহস্রাধিক সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে শহরের কয়েকটি এলাকা এবং স্টেডিয়ামেও প্রায় একই সময় কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দেড় শতাধিক নিহত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যগুলোর খবরে বলা হয়েছে। এসময় নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা অ্যাকশনে ৮ হামলাকারী নিহত হয়েছেন। বোমা হামলাগুলো আত্মঘাতী ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জার্মানির বিপক্ষে ফ্রান্সের ফুটবল টিমের খেলা চলার সময় স্টেড দ্য ফ্রান্স নামের স্টেডিয়ামটিতে বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে।
সে সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফাঁসোয়া ওঁলাদ স্টেডিয়ামে খেলা দেখছিলেন বলে জানা গেছে। শহরের একটি এশিয়ার রেস্তোরাঁর সামনে অন্তত দশজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই হামলা ছিল সংঘবদ্ধ। তবে তবে এই হামলা সংঘবদ্ধ এবং পরিকল্পিত কিনা, তা এখনি বলা সম্ভব নয় বলে প্যারিসের পুলিশ জানিয়েছে।
হামলার পর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পর্যটন নগরীটিতে সব বাসিন্দাদের যা যার ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। বাতিল হয়েছে পুলিশের ছুটি, হাসপাতালগুলোতে কর্মীদের নিরবচ্ছিন্ন কাজে রাখা হয়েছে।
মেট্রো রেলের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে দূরপাল্লার রেল ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক থাকছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, অন্তত ছয়টি স্থানে হামলা হয়। এর মধ্যে প্যারিস সিটি হলে একটি কনসার্টে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন শতাধিক। আরও পাঁচটি স্থানে বোমা ও গুলিতে মারা যান আরও ৪০ জনের মতো।