পৃথিবীর কয়েকটি বিপজ্জনক বিমানবন্দর কাহিনী
পৃথিবীতে অনেক বিমান বন্দর রয়েছে। এসব বিমান বন্দরে প্রতিদিন শত শত বিমান উঠা-নামা করে। কিন্তু এমন কয়েকটি বিমান বন্দর রয়েছে যেগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক। এমন কয়েকটি বিপজ্জনক বিমান বন্দরের কাহিনী আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে। অজানা কাহিনীর মধ্যে এটিও একটি অন্যতম। বিপজ্জনক ৩টি বিমান বন্দরের কাহিনী তৈরি করা হয়েছে দৈনিক যুগান্তর অনলাইনের সহযোগিতায়।
সান্তাক্রুজ বিমান বন্দর
পর্তুগালের সান্তাক্রুজে অবস্থিত এই বিমান বন্দরটি। এটি নির্মাণ করা হয় ১৯৬৪ সালে। এক সময় ছোট রানওয়ের জন্য এই বিমান বন্দরটি বিখ্যাত ছিল। এই বিমান বন্দরের সমস্যা হলো সুউচ্চ পাহাড়। এই বিমান বন্দরের সঙ্গে সুউচ্চ পর্বত ও সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্যও বিমান ল্যান্ডিং করাটা এক কথায় খুবই কষ্টসাধ্য। এই বিমান বন্দরের মূল রানওয়ে ছিল ১৪শ’ মিটার লম্বা যা পরবর্তী সময়ে আরো ৪০০ মিটার বাড়ানো হয়। অবশ্য ২০০৩ সালে এর রানওয়ে দ্বিগুণ করা হয় ।
প্রিন্সেস জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
এই বিমান বন্দরটি পূর্ব ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সেন্ট মার্টিনে অবস্থিত। এ অঞ্চলের মধ্যে এই বিমান বন্দরটি ২য় ব্যস্ততম বিমান বন্দর। এই বিমান বন্দরটি নির্মাণ করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ১৯৪২ সালে। ১৯৪৪ সালে নেদারল্যান্ডসের সম্রাজ্ঞী জুলিয়ানা এ বিমানবন্দরে প্রথম লান্ড করলে তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। এই বিমান বন্দরের ল্যান্ডিং স্ট্রিপ খুবই ছোট যা প্রায় ২১৮০ মিটার মাত্র।
চার্চেভেল বিমান বন্দর
অনেকেরই হয়তো জানা আছে, ফ্রান্সের চার্চেভেল হচ্ছে বিরাট এক স্কি এরিয়া । এই বিমান বন্দরটি খুব ছোট রানওয়ে নিয়ে অবস্থিত। বিমান অবতরণের সময় পাইলটদের খুব অল্প স্পিডে রানওয়ের ঢালু পান্তের দিকে যেতে হয় এবং টেক অফ করার সময় খুব স্পিডে রানওয়ের উঁচু প্রান্তের দিক দিয়ে যেতে হয় । এই বিমান বন্দরে শুধু ব্যক্তিগত বা চার্টাড বিমান এবং হেলিকপ্টার ওঠানামা করতে দেয়া হয়। এই বিমান বন্দরে অবতরণ করতে হলে পাকা পাইলট না হলে খবর আছে।