পিপিপি আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

28/10/2013 4:55 pmViews: 8

প্রতিবেদক : সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) আইন-২০১৩-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি কুমিল্লা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে। নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে খুলনা কৃষি বিশ্বদ্যািলয় আইন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইনের খসড়ায়।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পিপিপি আইনের খসড়া প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনে চুক্তির মেয়াদ ও বিরোধ নিষ্পত্তি কীভাবে হবে তা উল্লেখ রয়েছে। আইনে সাতটি অধ্যায় ও ৬৮টি ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগতভাবে যে কেউ সরকারের কাছে যে কোনো প্রস্তাব দিতে পারবে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে একটি লিঙ্ক প্রজেক্ট করে দেবে সরকার যা দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে। এছাড়া সর্বোপরি জনস্বার্থে যে কোনো চুক্তি সরকার বাতিল করতে পারবে।

দেশের পঞ্চম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খুলনায় প্রতিষ্ঠা করা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী খুলনা সফরের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর এখান থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় মাঠ পর্যায়ে ৬ মাসের ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন। এছাড়া সরকার মনোনীত দুজন অগ্রণী কৃষি উদ্যোক্তা এই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে সদস্য হিসেবে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ময়মনসিংহ, গাজীপুর, ঢাকা ও সিলেটে চারটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেই হিসাবে খুলনায় হবে দেশের পঞ্চম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। খুলনায় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে।

এদিকে প্রো-ভিসির পদ নতুন করে সৃষ্টি করতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন-২০১৩’ এবং ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন-২০১৩’ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এতে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রো-ভিসির পদ সৃষ্টি হলো। আর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি নাম হবে ইউনিভার্সিটি অব বরিশাল। গত ২ সেপ্টেম্বর এ দুটি খসড়া আইনে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৩-এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে অনধিক ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারবে। বর্তমানে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করার বিধান রয়েছে।

এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব স্ট্যাটিসটিকস (এনএসডিএস) শীর্ষক পরামর্শক দলিল অনুমোদন করা হয়। এতে শিশুশ্রম জরিপ, কৃষি পরিসংখ্যান, খাদ্য উত্পাদন, মা ও শিশু পুষ্টি ইত্যাদি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জরিপ করতে পারবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররাফ ভূইঞা বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠক আর কতদিন চলবে তা প্রধানমন্ত্রী জানেন। এগুলো নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয় না। আমরা বৈঠক কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর অনেক আলোচনা হয়, সেগুলো আমি জানি না।

প্রসঙ্গত, ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। মন্ত্রিসভার এই বৈঠকটিই এ সরকারের শেষ বৈঠক বলে অনেকে ধারণা করছেন।

Leave a Reply