পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি বিএনপির
পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি বিএনপির
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রি. জে. (অব.) আসম হান্নান শাহ। বলেছেন, পিন্টুর মৃত্যুর পেছনে অন্য কোন রহস্য আছে কিনা এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা এই তদন্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আর প্রয়োজনে বিএনপির পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বিকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পিন্টুর রুহের মাগফিরাত কামনায় ছাত্রদল আয়োজিত দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। হান্নান শাহ বলেন, পিন্টুর মৃত্যুর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি ও বিচারের দাবি জানাই আমরা। আর এর জন্য দলের পক্ষ থেকে আন্দোলন হবে। হান্নান শাহ অভিযোগ করেন, পিন্টুর বড় ছেলে কানাডায় লেখাপড়া করছেন। তার বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিনি ঢাকায় আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ঢাকায় আসলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাই তাকে আমরা বলেছিলাম, তোমাকে এখন ঢাকায় আসতে হবে না। সময় হলে তুমি ঢাকায় এসে বাবার কবর জিয়ারত করবে এবং রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেবে। তিনি বলেন, পিন্টুসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা সরকারের হাতে যেভাবে গুম ও খুন হয়েছেন তা আমরা স্মরণ রাখতে চাই এবং এর প্রতিশোধও আমরা নিতে চাই। এরজন্য হয়তো আমাদের কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু এতে আমি নিরাশ হবো না। পিন্টু যেভাবে মারা গেছেন এরজন্য আমি ক্ষমতাসীনদের প্রতি নিন্দা জানাবো না। সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের জন্য আল্লাহর গজব পড়বে- এই কথাও আমি বলি না। কারণ, দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকারকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে- এটা আমি মানি এবং বিশ্বাস করি। পিন্টুর স্মৃতিচারণ করে হান্নান শাহ বলেন, তার জায়গা অন্য কেউ লালবাগ বা অন্য কোথাও থেকে পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু এতে আমাদের হতাশ হলে চলবে না। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ছাত্রদলের উদ্দেশে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, রাজপথে ছাত্রদলের যে ভূমিকার রাখার কথা ছিল তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা রাজপথে নামতে পারছে না। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমি জানতে পেরেছি বাংলাদেশের দুই নেত্রীকে বৈঠকে বসার জন্য জাতিসংঘ উদ্যোগ নিয়েছে। জাতিসংঘ যদি এই উদ্যোগ নিয়ে থাকে বা পদক্ষেপ নিয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক সঙ্কট দূর হবে, অন্যথায় নয়। তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংলাপ ও সমঝোতা অনিবার্য। সংলাপ ছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোন পথ নেই।
ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলটের সভাপতিত্বে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, সাবেক সহ-সভাপতি জাবেদ হাসান স্বাধীন প্রমুখ অংশ নেন।