পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া!
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া!
চারদিনব্যাপী এই গণভোট শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। একে মস্কো দেখছে ওই অঞ্চলের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার ভোট হিসেবে। কিন্তু ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা এই ভোটকে দেখছে ক্রেমলিনের সাজানো লজ্জার নাটক হিসেবে। এর মধ্য দিয়ে ক্রেমলিন ইউক্রেনের ওই অংশগুলো তাদের দখলে নিতে চায় বৈধতা দেখিয়ে।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেয়ার পরে এ ইস্যুতে ল্যাভরভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ওইসব গণভোটের পর সেখানকার জনগণের মতের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধা দেখাবে রাশিয়া। তারা ইউক্রেনের নাৎসীপন্থি শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতনের শিকারে পরিণত বহু বছর ধরে। এ অঞ্চলগুলো রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলে তাকে রক্ষায় কি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া? এমন প্রশ্নের জবাবে ল্যাভরভ বলেন, ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো অংশ যুক্ত হলে তা সহ পুরো রাশিয়াকে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। এসব ভূখন্ডে রাশিয়ান ফেডারেশনের সব আইন, ‘ডকট্রিন’, সব ধারণা, সব কৌশল প্রয়োগ করা হবে। এখানে রাশিয়ান ডকট্রিন বলতে তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ওদিকে বৃহস্পতিবার রাশিয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট দমিত্রি মেদভেদেভ কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাকে দেখা হয় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে। মেদভেদেভ বলেছেন, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র সহ সব রকম অস্ত্র- যা মস্কোর কাছে আছে, তার সবটাই ব্যবহার করা হতে পারে রাশিয়ার ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষায়। এর আগে পুতিনও সব রকম ব্যবস্থা নেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। এর মধ্যে আছে পারমাণবিক অস্ত্র।
ওদিকে সের্গেই ল্যাভরভের মন্তব্য এবং পুতিনের আগের দেয়া মন্তব্যকে দায়িত্বহীন এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দমিত্র কুলেবা। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন (তার ভূখণ্ড) ছেড়ে দেবে না। আমরা সব পারমাণবিক শক্তিধরদের কাছে আহ্বান জানাই এখনই কথা বলুন এবং এটা পরিষ্কার করুন রাশিয়ার কাছে যে, তাদের এই বাগাড়ম্বরতা বিশ্বের জন্য ঝুঁকি। এটা সহ্য করা হবে না। এই সঙ্গে কথিত ওই গণভোট নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।