পাকিস্তান পার্লামেন্টের দুটি আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে।
পাকিস্তান পার্লামেন্টের দুটি আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে।
জাতীয় পরিষদ হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান পার্লামেন্টের দুটি আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। তিনি ১০৮ ও ১১৮ নম্বর আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে ফয়সালাবাদের আসন ১০৮ নিয়ে রিটার্নি অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে ১১৮ নম্বর নানকানা সাহিব আসনে ইমরানের মনোনয়নপত্র বাতিল করার দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। কিন্তু নির্বাচন বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছে আজ বুধবার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
ইমরান খান জাতীয় পরিষদের ৯টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ১০৮ নম্বর আসনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন জেলা নির্বাচন কমিশনার। অন্যদিকে ১১৮ নম্বর আসনের মনোনয়নপত্রকে চ্যালেঞ্জ জানায় পিএমএলএন। বাকি আসনগুলোতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয় এবং তা গ্রহণ করে কমিশন।
ওদিকে পিএমএলএনের আবেদনের শুনানি হয় বুধবার। এক্ষেত্রে পিটিশনারের আইনজীবী বলেন, ইমরান খান যে এফিডেভিট দিয়েছেন তা আইনসম্মত নয়।
এর প্রেক্ষিতে বিচারক শাহিদ ওয়াহিদ উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে- যদি শপথ গ্রহণকারী কোনো কমিশনার দ্বারা মনোনয়নপত্র যাচাই বা সত্যায়িত না হয় তাহলে তা বাতিল হয়ে যাবে না। তিনি আরও বলেন, যদি আপনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কোনো আপত্তি উত্থাপন না করেন, তাহলে ট্রাইব্যুনালে কোনো আপত্তি তুলতে পারবেন না। এ সময় বিচারক আবেদনকারীর আইনজীবীর কাছে জানতে চান, এর বাইরে তাদের আর কোনো আপত্তি আছে কিনা। এ প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী বলেন, তোশখানা থেকে যেসব জিনিস ইমরান খান নিয়েছেন তা তিনি ২০১৯ এবং ২০২০ সালের আয়কর রিটার্নে ঘোষণা করেননি।
ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি তোশখানা থেকে যেসব জিনিস নিয়েছেন তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন ওই আইনজীবী। কিন্তু মনোনয়নপত্রে তার কোনো উল্লেখ নেই। জবাবে ট্রাইব্যুনাল জানায়, যদি তোশখানার কোনো আইটেম তাদের কাছে বিক্রি করা হয়, বিক্রির অর্থ যদি কোনো দাতব্য কাজে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তোশখানা থেকে জিনিস নিলে তা উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজন নেই প্রার্থীর। এরপরেই পিএমএলএনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
এর আগে পিটিআইয়ের ১১ জন এমপি পদত্যাগ করেন। ২৮শে জুলাই তা গ্রহণ করেন জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ। পরে তিনি ২৫ শে সেপ্টেম্বর ওই আসনগুলোতে উপনির্বাচন ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ৯টি আসন সাধারণ। দুটি আসন সংরক্ষিত।