পাইলিং গর্তে ধসে গেছে সড়ক, ঝুঁকিতে সুন্দরবন হোটেল
২৭ মে, ২০১৫
রাজধানীর কাঠালবাগান এলাকায় সি আর দত্ত সড়কের পাশে ভবন নিমার্ণের জন্য খোঁড়া গভীর গর্তে (পাইলিং) ধসে গেছে ওই সড়কের বেশ কিছু অংশ। আর এর পাশে থাকা হোটেল সুন্দরবন ভবনটি পড়েছে চরম ঝুঁকিতে। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে সুন্দরবন হোটেলটি খালি করার নির্দেশ দেয়। এরপরই ভবনের সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভবন নির্মাণের জন্য বড় আকারে এবং গভীর গর্ত খোঁড়ায় পাশের সড়কটি দেবে যায়। এতে সুন্দরবন হোটেলের পাশে কিছু স্থানসহ তলিয়ে গেছে হোটেলের সীমানা প্রাচীর। এছাড়া ওই স্থানের অস্থায়ী দোকানসহ ফুটপাতের কিছু অংশ, সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি রিকশা, বিদ্যুতের খাম ও কয়েকটি গাছ গর্তের ভেতর ধসে পড়েছে। পানি ও গ্যাসের লাইন দিয়ে ক্রমাগত পানি ও গ্যাস বের হচ্ছে। এলাকার গ্যাস ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সোনারগাঁও এলাকার গ্যাস ও পানির লাইন।
এদিকে ওই স্থানের আশেপাশের সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবং আশের পাশের দোকানগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ।
তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া ধসে যাওয়া স্থানের আশপাশের স্থাপনা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোন তথ্য জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস সূত্র।
ঘটনাস্থলে থাকা তেজগাঁও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, উদ্ধর কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, রাতে এ স্থানে অনেক নির্মাণ শ্রমিক, ফুটপাত দোকান কর্মচারী এবং রিকশা-ভ্যান চালকরা ঘুমান। তখন ঘটনাটি ঘটলে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারতো। সকালে ঘটনাটি হওয়া তা এড়ানো গেছে।
খবর পেয়ে রাউকের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌছেছেন। এক কর্মকর্তা জানান, তারা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রাথমিকভাবে বালির বস্তা ফেলে ঝুঁকি কমাতে চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তারের মেয়র আনিসুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি উৎসুক জনতাকে অনুরোধ করেন সড়ক ধসের স্থান ত্যাগ করে। সংশ্লিষ্টদের কাজে সহযোগিতা করার জন্য। এছাড়া তিনি রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।