পরিস্থিতি বিবেচনায় দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ : সিইসি
প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আচরণবিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে, সিইসি বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মাঠ পর্যায়ের অফিস তদন্তে পুনরায় তিন সদস্যের কমিঠি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবিক) আহবায়ক এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা তথ্য অফিসারকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
রবিবার বরগুনা-২ শূন্য সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন সংক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর নিজ কক্ষে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আন্তজার্তিক মানের আচরণবিধি প্রণয়ন করা হবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে এ অবস্থাতে (সংসদ বহাল রেখে) কিভাবে নির্বাচন হয় সেসব দেশের উদাহরণ ও দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আচরণবিধি প্রণয়নের জন্য কমিশন দলগুলোর (স্টেকহোল্ডার) সঙ্গে সংলাপে বসবে কিনা ওই সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে সময় আছে। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আমরা এটির (আচরণবিধি) খসড়া প্রস্তুত করা হবে। কারণ সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ তৈরির (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, প্রথা মেনেই (আইন) বিএনএফকে দ্বিতীয় দফায় ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। ওই তদন্তে যারা দলটির (ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা) মাঠ পর্যায়ের অফিস তদন্ত করেছিল তদন্ত প্রতিবেদনে সঠিকভাবে রিপোর্ট দেয়নি বলে বিএনএফের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে দলটির মাঠ পর্যায়ের অফিস তদন্তে পুনরায় (তৃতীয় দফা) সময় দেওয়া হয়েছে। কাজের স্বচ্ছতা নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার এডিসিকে আহবায়ক এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা তথ্য অফিসারকে কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফা তদন্তে বিএনএফের ২১ জেলা ও ৮৮টি উপজেলাতে কার্যকরী অফিস ও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। নিবন্ধনের শর্তে বলা হয়েছে, নিবন্ধন পেতে ২১ জেলা ও ১০০ উপজেলাতে কমিটি থাকা বাধ্যতামূলক আছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বরগুনা-২ আসনের নির্বাচনে সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৭ জন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। তবে নদীমাতৃক হওয়ায় এ আসনে কোস্টগার্ডও মোতায়েন করা হবে। আমরা আশা করি, এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।