পরিচালক আশিকুজ্জামান, শাহিনুর ভুইয়ার বেপরোয়া লুটপাট সিন্ডিকেট। বিআইডব্লিউটিসি’র দূনীর্তি পরায়ণ পরিচালক অর্থ শাহিনুর ভুইয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বহাল তবিয়তে।
ষ্টাফ রিপোটার: বিআইডব্লিউটিসি‘র পরিচালক অর্থ শাহিনুর ভুইয়ার বিরুদ্ধে লুটেরা সিন্ডিকেট পরিচালনা সহ অনিয়ম—দূনীর্তির শত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি কমিশন বাণিজ্যের ও সর্বসেরা ঘুষখোর নামে পরিচিত। সংস্থার বির্তকিত পরিচালক অর্থ শাহিনুর ভুইয়া ও পরিচালক বাণিজ্য আশিকুজ্জামানের অঘোষিত নিয়ন্ত্রন হয়ে উঠেছে। দুই কর্মকর্তার সহ গুটি কয়েক দূনীর্তিবাজের কারণে ধ্বংসের দাড়প্রান্তে, বিআইডব্লিউটিসি। রন্দ্রে রন্দ্রে দূনীর্তিনামক ঘুনেপোকা এমনভাবে ধরেছে যে, গোটা সংস্থাকে সারখার করে সাড়ছে ও দূনীর্তির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছেন তারা। সূত্রে জানা যায়, বিআইডব্লিউটিসি‘র বর্তমান পরিচালক অর্থ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বডিগার্ডের ছেলে শাহিনুর ভূঁইয়া। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক নৌমন্ত্রী মরহুম কর্ণেল আকবর আলী খান প্রথমে তাকে সংস্থার সচিব ও পরবর্তীতে পরিচালক অর্থ হিসেবে চেয়ারে বসান একজন এজিএম পদস্থ কর্মকর্তা শাহিনুর ভুইয়াকে। সেই থেকে তার ভাগ্যের চাকা বদলে যায়। সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন ভৈরব ল্যান্ড নামে বিআইডব্লিউটিসি’র ১টি নিজস্ব জমি ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, সে সময়ে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে বিআইডব্লিউটিসিতে রুপান্তর করে।
ভৈরবে জমি তারই ১টি ইউনিটের অংশ জমির/ঘাট বন্দর ছিল, জাহাজ ও মালামাল হাস্থান্তর হইলে সেই জমিটি দেখভাল না করার ফলে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে থাকে, এমতাবস্থায় ভৈরব নিবাসী জিয়া উল ইসলামের সেই সুত্রধরে সেখানকার বিআইডব্লিউটিসি‘র পুরাতন ঘাটটি/জমিটি তাকে সামান্য মূল্যে লীজ দেন। শাহিনুর ভূঁইয়া সংস্থার সচিব থাকাকালীন ওই লীজকারী তার সাথে আঁতাত করে, বিশাল অংকের টাকার বিনিময়ে জনাব জিয়া উল ইসলাম বিআইডব্লিউটিসি’র জমি শাহিনুর ভূঁইয়ার সহযোগীতায় অবৈধভাবে দখলেনেন এবং সেই সময় থেকে জমিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জমিটি সংস্থার হাত থেকে বেহাত হয়ে যায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। শুধুমাত্র বর্তমান পরিচালক অর্থ শাহিনুুর ভূইয়ার একক আর্থিক লাভবানের কারণে জমির পরিচিতি ভৈরব ব্রীজের পশ্চিম পাশে, বিএডিসি কৃষি স্থাপনার পাশে প্রায় আড়াই একর জমি, বাণিজ্যিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ্য অত্র এলাকার মধ্যে সর্বোচ্চ দামী, বর্তমানে জিয়া উল ইসলাম জমির উপর রাইস মিলের ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।একাধিক সূত্রে যানা যায়, অবৈধভাবে চৌদ্দ বছর যাবত বিআইডব্লিউটিসি’র পরিচালক অর্থ হিসাবে কর্মরত আছেন শাহিনুর ভূঁইয়া, পরবর্তীতে পষ্দ সবার সিদ্ধান্তে তাকে পূর্বপদে বহাল করলে শাহিনুর ভুইয়া হাইকোর্টে রিট করে সংস্থার এডভাইজারের যোগসাজসে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করলে সর্বশেষ ১৫/১২/২০২০ ইং তারিখে রায় আসে বিআইডব্লিউটিসি‘র পক্ষে। এরপরেও ২ বৎসর গত হয়ে গেল এখনও বহাল তরিয়াতে মন্ত্রণালয়ের অসাধু কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খুশি রেখে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে কর্মরত আছেন দেদারচ্ছে। এজিএম পদ মর্যাদার কর্মকর্তা হয়েও দুর্নীতি পরায়ণ শাহিনূর ভূঁইয়া পরিচালক অর্থ এর বেতন নিচ্ছেন কিভাবে? সংস্থার আইন শাখার এডভাইজারের যোগসাজসে সবাইকে ম্যানেজ করে কর্মরত থেকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিআইডব্লিউটিসি‘তে শাহিনুর ভুইয়া।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, সংস্থার সমুদয় অর্থের মালিক পরিচালক অর্থ যেকোনো ব্যাংকে মাত্র এক কোটি টাকা রাখলেই ০.৫% পারসেন্ট হিসেবে নিলেও মাসে ৫ লক্ষ টাকা আসে। বেশির ভাগ বিএনপি মনোনিত ব্যাংকেই শত কোটি রাখা আছে, যা সরেজমিনে খোজ নিলে সত্যতা মিলবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তাগণ এই প্রতিবেদক কে জানান বিআইডব্লিউটিসি‘র অধীনে সকল নিয়োগ সংক্রান্ত তার কোটা থাকতে হবে স্থায়ী হলে জন প্রতি ২৫ লক্ষ এবং অস্থায়ী তিন থেকে চার লক্ষ টাকা চাকরি ববাদ ঘুষ গ্রহণ করে থাকেন মহা ক্ষমতাধর পরিচালক অর্থ শাহিনুর ভূইয়া। এছাড়াও ২৫ লক্ষ টাকা লোন নেন গাড়ী কেনার উপলক্ষে কিন্তু গাড়ী না কিনে সংস্থার গাড়ী দিয়েই যাতায়াত করেন তিনি। প্রতি বৎসরে ২—৩ বার জাহাজের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ পি এস আই করার জন্য বিদেশ গমন অথচ জাহাজের ইঞ্জিন সমন্ধে নূন্যতম জ্ঞান নেই তার। টেন্ডার, মেরামত ওয়ার্ক অর্ডার ঠিকাদার কর্তৃক জামানতের টাকা উত্তোলনের সময় তাকে টাকার পরিমাণ বুঝে পারসেন্ট হিসাবে ঘুষ দিতে হবে তাকে। এছাড়াও বিআইডব্লিউটিসি‘র অধীনে সকল প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দের জন্য ৫% হইতে ২০% পর্যন্ত ঘুষ না দিলে অর্থ বরাদ্দ পেতে বেগ পেতে হয় প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদারদের। বিআইডব্লিউটিসি’র একাধিক কর্মকর্তাগণ ও ঠিকাদারগণ জিম্মি হয়ে পড়েছেন শাহিনুর ভুইয়াগংদের কাছে। বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে একাধিক মামলার অধিকারী বিআইডব্লিউটিসি’র পরিচালক অর্থ শাহিনুর ভূঁইয়া বলে জানা যায়।
সূত্রে আরো জানা যায়, চট্টগ্রাম ইউএসটিসিতে এমবিএ করার জন্য ভর্তি হন সেশন ছিল ২০০৭—২০০৯ সাল কিন্তু সার্টিফিকেট পায় ২০০৮ সালে এ যেন মুরগির আগে ডিম। চট্টগ্রাম ইউএসটিসি এমবিএ কমপ্লিট করেন অফিসে হাজিরা আছে তাহলে প্রত্যেক দিন কখন ক্লাস করলেন শাহিনুর ভুইয়া? ইংলিশে এমবিএ করলেন অথচ ঐ প্রতিষ্ঠানে নাম ইংলিশে লেখার যোগ্যতা তার নাই তার হাবভাব দেখলে মনে হবে মস্তবড় শিক্ষিত ব্যক্তি। তার চলাফেরা বিলাশিতা দেখে বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মকর্তাগণ হতবাগ। একজন মন্ত্রী,এমপিরাও এভাবে চলাফেরা করেন না। অবৈধ সম্পদ নামে—বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি। যা সরেজমিনে যাচাই—বাযাই করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। সরেজমিনে গিয়ে বিআইডব্লিউটিসি‘তে দেখা ও জানা যায় সম্প্রতি ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তার অফিস রুম ডেকোরেশন করলেও তার রুমের সামনে একটি কেচিগেট লাগালেন ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেটাও অফিসের সামনে আদৌও কোন প্রয়োজন নাই এমনকি কোনদিন ব্যবহারও করেননি কারন গেট লাগালেও যা না লাগালেও তাই। এমন প্রতারনা বিআইডব্লিউটিসিতেই সম্ভব। অথচ এক লক্ষ টাকাও খরচ হয় নাই এভাবেই সংস্থার টাকা দিয়ে হাইকোর্টের মামলা চালালেন চৌদ্দ বছর যাবৎ ও তার চেয়ার ঠিক রাখার জন্য। মামলার পিছনে দৌড়াতে গিয়ে সংস্থার কর্মকতা কর্মচারীদের পেনশন দেয়া থেকে ব্যর্থ হয়েছেন সংস্থার এই দুর্নীতিবাজ পরিচালক অর্থ শাহিনুর ভুইয়া। সংস্থার প্রতিটি স্টেশন থেকে মাসহারা নিয়ে থাকেন পরিচালক অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পদে টাকার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের পথস্থ করেন তিনি। হিসাব বিভাগের জিএম হতে গেলে সিএ কমপ্লিট থাকতে হবে, আর সেখানে ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর বিশাল ব্যাপার তার কোন যোগ্যতার সার্টিফিকেটিই নাই তার অথচ পরিচালক অর্থ পদটি বিধি বর্হিভুতভাবে দখল করে দূনীর্তির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন শাহিনুল ভুইয়া। দুর্নীতি পরায়ণ জনাব শাহিনূর ভূঁইয়া পরিচালক অর্থ ফগ লাইট এর দায় থেকে বাঁচানোর জন্য চীফ পার্সোনেল ম্যানেজার মানসুরা আহমেদ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত যার ছবিসহ বিভিন্ন পত্র—পত্রিকায় প্রকাশিত হয় বিএনপি নেতার মেয়ে যার চাকুরীর শুরু থেকে অনিয়ম দূনীর্তির তদন্ত কর্মকর্তা যুগ্মসচিব ড.আ.ন.ম. বজলুর রশীদ(৬৫১১) নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। সেই মানসুরা আহমেদ আবার মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং—১৮.০০.০০০০.০১৫.০৬.০০২.১২ (অংশ)—১৮০ তারিখ ২০/০৭/২০১৭ এর নির্দেশনা এবং দপ্তরাদেশ নং—কঃ বিঃ ২৬৬/২০১৭ তারিখ ১৪/১১/২০১৭ অতিরিক্ত সচিবদের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়।
সে সিদ্ধান্ত বাতিল করে সংসদ সদস্য জনাব সাবের হোসেন চৌধুরীর নামে প্লেট চুরির মিথ্যা মামলার বাদী জনাব এন এস এম শাহাদাত আলী, পরিচালক (বাণিজ্য)কে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেন ধামা চাঁপা দেওয়ার জন্য তাও আবার ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে মতামত দাখিল করার অনুরোধ করলেন। দুর্নীতিবাজ শাহাদাত আলীর মদদে জিএম (আকন) বাণিজ্যকে ডিজিএম ও ডিজিএম মতিনকে জিএম বাণিজ্য করে সংস্থার ক্ষতি সাধন করে ২২লক্ষ টাকা। এন এস এম শাহাদাত আলী, পরিচালক (বাণিজ্য) হয়েছিল অর্থের বিনীময়ে সংস্থায় সবাইকে খাওয়ালেন খিচুরী ঐ একই ধারায় বর্তমান পরিচালক (বাণিজ্য) জিএম এর পদে ফিটার পোষ্ট কমপ্লিট না হতেই একাধিক কর্মকর্তাগণকে সিনিয়র জিএমদেরকে ডিঙ্গিয়ে আশিকুজ্জামান, পরিচালক (বাণিজ্য) পদটি বাগিয়ে নেন। অবৈধ ক্ষমতার দাপট ও অর্থের বিনিময়ে। সকল অপকর্মের হোতা পরিচালক বাণিজ্য আশিকুজ্জামানের ইশারা ছাড়া কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড একেবারেই অসম্ভব বলে সূত্রে জানা যায়। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক অর্থ শাহিনুর ভুইয়ার মোবাইলে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়ার কারণে তার কোন মতামত পাওয়া যায়নি।