পবিত্র হজ পালিত
প্রতিবেদক :পবিত্র হজ পালিত হয়েছে। সোমবার আরাফাতের ময়দানে সমবেত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্দেশে খুতবা পেশ করেছেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শেখ। খুতবা শেষে জোহর ও আছরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করা হয়। হজ পালনে আসা ১১৮টি দেশের ২০ লক্ষাধিক মুসলমান আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন।
‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক, লাব্বায়েক লা শারিকা লাকা লাব্বায়েক, ইন্নাল হাম্দা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়ালমুলক, লা শারিকা লাকা’— এ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে আরাফাত ময়দান।
হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। ধর্মীয় অনুশাসনে বলা হয়েছে— হজের মাধ্যমে মুসলমানগণ মহান আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য লাভ করে থাকেন।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে মিনায় যান। সেখানে নামাজ আদায় এবং রাতযাপন শেষে সোমবারআরাফাতের ময়দানে আসেন। সেখানে তারা এক আজানে জোহর এবং আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করেন।
প্রতিবারের মতো এবারও স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৬ মিনিটে আরাফাতে মসজিদে নামিরাহ থেকে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক খুতবা পাঠ করেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শেখ।
হিজরি ১০ সালে অর্থাত্ ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে হজের সময় আরাফাতে অবস্থিত জাবালে রহমত পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মুসলমানদের উদ্দেশে হজরত মুহম্মদ (স) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এটিই ছিল তার শেষ ভাষণ। তাই এটিকে বিদায় খুতবা বলে অভিহিত করা হয়।
ইসলাম ধর্মের প্রকৃত মূল্যবোধ অনুযায়ী মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এ ভাষণেই চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা ছিল।
সারাদিন আরাফাতে অবস্থান শেষে সন্ধ্যায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হন। আজ মঙ্গলবার জামারায় শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের পর তারা পশু কোরবানি দেবেন। কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করবেন। এরপর ইহরাম ছাড়ার মধ্য দিয়ে হজের মূল কার্যক্রম শেষ করবেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিনামূল্যে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও বিভিন্ন সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান খাবার ও নানা ধরনের উপহার দিচ্ছে বলে একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।
পবিত্র হজের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মক্কা ও আশপাশে ৩০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনী। মোতায়েন করা হয়েছে ৯৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী