পদ বহাল রেখেও এমপিরা নির্বাচন করতে পারবেন : ইসি
স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বলেছেন, সংসদ সদস্যদের পদ লাভজনক নয়। যে কারণে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন হলে সে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করতে হবে না। তারা পদে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
রবিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আবু হাফিজ বলেন, সাংসদদের পদ লাভজনক কি না, তা জানতে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার দরকার হবে না। এ নিয়ে হাইকোর্টের একটি রায় আছে। তাতে সংসদ সদস্যদের পদ লাভজনক নয় বলে মত দেওয়া হয়েছে।
ওই রায়ের আলোকে পদে থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সংসদ সদস্যদের ‘কোনো বাধা নেই’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। আর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী সরকারের মেয়াদের মধ্যেই নির্বাচন হওয়ায় বর্তমান সংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান মন্ত্রিসভাও তখন বহাল থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে সব পক্ষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে কি-না তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনার আবু হাফিজ বলেন, নির্বাচনকালে সংসদ সদস্য ও প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে কমিশন আচরণবিধি প্রণয়নের কাজ করছে।
তিনি বলেন, সংসদ বহাল থাকলে সরকারে যারা থাকবেন এবং যারা বাইরে থাকবেন তাদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে কঠোর আচরনবিধি করব। কিন্তু আইন দিয়ে গণতন্ত্র কিংবা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় না। এটি প্রাকটিসের বিষয়।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্য ও ভারতের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কমিশন যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়শিয়াসহ কয়েকটি দেশের আচরণবিধি পর্যালোচনা করছে।
তিনি বলেন, দশম সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটার তালিকা, সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এখন আচরণবিধি প্রণয়নকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কীভাবে হবে তা নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব থাকলেও শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হবে বলেই তার বিশ্বাস
নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে অনেকগুলো কাজ শেষ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সীমানা নির্ধারণ, আইন সংশোধন ইত্যাদি।
বাকি রয়েছে আচরণবিধি সংশোধন করা, এর জন্য আমরা কাজ করছি।