পদ্মায় লঞ্চডুবি, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮
মানিকগঞ্জ, ২২ ফেব্রুয়ারি : পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে কার্গোর ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি মোস্তফা নামের একটি লঞ্চ পদ্মায় ডুবে গেছে। রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ৫ শিশুসহ ৪৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৪৫ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। এ ঘটনায় কার্গো জাহাজ নার্গিসকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত মৃতদেহ পাটুরিয়া ঘাটের বিআরটিসি যাত্রী ছাউনিতে রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।
উদ্ধার হওয়া ৪৮ লাশের মধ্যে ২৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন— মাগুরার লাইলী আক্তার (৬৫), রাজবাড়ীর ইমরান (৮), নবীজান (৭০), রাবেয়া বেগম (৫০), নাসিমা আক্তার (৩৬), ইমামুল ইসলাম (১৫), অসীমা রাণী (৪০), ফারজানা আক্তার (৩০), পাবনার ফজলুর রহমান খান (৫৫), মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের সেলিম হোসেন (২৮), লাবনী আক্তারমুক্তা (১৫), কুষ্টিয়ার নাসিরউদ্দিন (৪০), মধুসূধন সাহা, রেবেকা খাতুন (৫০) ও মেহেদী হাসান (৩০), কুমারখালী, কুষ্টিয়ার সাবু (২০) ও বিথী খাতুন (৩৫), ফরিদপুরের নার্গিস আক্তার (১৫), পাপন (০৫), রতন কুমার সরকার (৩২) ও অর্চনা মালো (৪৫), নগরকান্দা, ফরিদপুরের বাধন সরকার (৮), শিবালয়, মানিকগঞ্জের লতা আক্তার (২২), নড়াইলের হাফছা (৮) ও আমেনা বেগম (৩০), গোপালগঞ্জের জুনায়েদ শেখ, এবং কুমিল্লার আবুল হাসান (৬০) ও পরিমল ভৌমিক।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও উদ্ধারকারী জাহাজ আইটি। দুপুরে পৌনে ৩ টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম।
পাটুরিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল মুকতাদির জানান, এমভি নারগিস নামে সারবাহী একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি মাঝ পদ্মায় ডুবে যায়। যাত্রীদের উদ্ধারে নৌপুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে। ইতোমধ্যে ৪৫ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর এমভি নারগিসকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।