পদত্যাগপত্রই প্রধানমন্ত্রী ইমরানের একমাত্র ‘ট্রাম্প কার্ড’, মরিয়ম নওয়াজ

আসলে মানুষ অবশ্যই তাদের বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে আসবে, কিন্তু শুধুমাত্র আপনাকে বাড়িতে পাঠানোর জন্য। ” মরিয়মের আরো অভিযোগ, ”প্রধানমন্ত্রী ইমরান তার সমাবেশে অর্থায়নের জন্য জাতীয় কোষাগার থেকে অর্থ ব্যবহার করছেন এবং জনগণ তাকে এর জন্য দায়বদ্ধ করবে। প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হচ্ছে শুধুমাত্র দেশের জনগণের অভিশাপের কারণে, আমি যখনই ইসলামাবাদে যাই মানুষ আমাকে তার কাছ থেকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করে।”জাতীয় কোষাগার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি যোগ করেছেন ,”প্রধানমন্ত্রী আসলে ভয় পান যে লোকে তার চুরি করা টাকা খুঁজে পেয়ে যেতে পারে যে টাকা তিনি বানিগালার ভবনে লুকিয়ে রেখেছেন । তবে কেউ তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে না। এখন প্রধানমন্ত্রীর সামনে একটাই রাস্তা খোলা তা হল ভিক্ষা চাওয়া ” । এই আবহে পিএমএল-এন একটি বড় সমাবেশের আয়োজন করেছে , যার নেতৃত্বে থাকবেন হামজা শেহবাজ। নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সমৃদ্ধ সময় আবারো ফিরে আসবে বলে প্রত্যয়ী তাঁর কন্যা মরিয়ম। পিএমএল-এন নেত্রীর দাবি , আরও বেশি সংখ্যক পিটিআই আইনপ্রণেতারা বিরোধীদের পিছনে তাদের সমর্থন প্রদান করছেন। তবে ইমরান তার সংসদ সদস্যদের দল থেকে বহিষ্কার করবেন নাকি তারা নিজেরাই দল থেকে বেরিয়ে যাবেন সে সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন মরিয়ম। ইমরান খান প্রতিদিন বলতেন যে তিনি বিরোধীদের এনআরও দেবেন না কিন্তু এখন তিনি সবার কাছে এনআরও চাইছেন। নিজেকে এবং তার সরকারকে বাঁচানোর জন্য প্রতিটি দরজায় ঘুরছেন , দাবি বিরোধী নেত্রীর। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, বিরোধীরা পিটিআইয়ের সরকারের পতন ঘটাবে না , বরং পাকিস্তানি জনগণের অভিশাপ ইমরানের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অযোগ্য সরকারের পতন ঘটাবে। অনাস্থা ভোটের আগেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সম্মানের সাথে পদত্যাগ করার কথা বলেছেন পিএমএল-এন নেতা হামজা শেহবাজ। হামজা আরও বলেছেন যে, ইমরান খান ইতিমধ্যেই পাকিস্তানিদের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন এবং এখন তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কারণ তাকে তার সমস্ত অন্যায়ের জন্য জবাবদিহি করা হবে।