নোয়াখালীতে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪
নোয়াখালীতে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া ছাত্রলীগ নেতা মো. রাফেজ ও যুবলীগ নেতা ইউনুছসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ। বাকি দুজন হলেন, মো. আবুল হায়াত রায়হান ওরফে খালাশী রায়হান ও নুরুল আমিন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের আটকের পর বুধবার গ্রেফতার দেখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জেলা পুলিশ সুপারের দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত রবিবার বিকালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা দাওয়া সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে মো. রাফেজকে (২৮)। তিনি জেলা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় চাঁদাবাজি ও মারামারিসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। মো. রাফেজ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিনের কর্মী। শিহাব উদ্দিন শাহিন বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করেছেন, ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্তা নেই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তিনটি গ্রুপ গত ৮ সেপ্টেম্বর জেলা শহরে একই সময়ে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়। এ কর্মসূচি সফল করার জন্য গত রবিবার বিকালে তিনটি গ্রুপ শোডাউন করার সময় এমপি একরামুল করিমের গ্রুপ, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেলের গ্রুপ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিনের গ্রুপের মধ্যে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় শিহাব উদ্দিনের এক কর্মী প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে দেখান। যার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ আরও জানায়, অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার ভিডিও চিত্রটি ভাইরাল হওয়ার পর জড়িতদের শনাক্ত করে মঙ্গলবার আটক করা হয়। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার বিকালে সাধারণ ডায়েরি মূলে তাদের ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ঘটনায় সুধারাম থানার এসআই কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। এরপর প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শনকারী হিসেবে সদর উপজেলার উত্তর কাদির হানিফের মৃত কামাল মুহুরীর ছেলে, ছাত্রলীগ নেতা মো. রাফেজ (২৮), জেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে মো. আবুল হায়াত রায়হান ওরফে খালাশী রায়হান (২৬), সদর উপজেলার পশ্চিম শুল্যকিয়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে যুবলীগ নেতা মো. ইউনুছ (৪০) ও কাশিপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে নুরুল আমিন (৩৯)।