নিহত মুসল্লিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মন্ট্রিলে হাজারো মানুষ

03/02/2017 4:39 pmViews: 10

নিহত মুসল্লিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মন্ট্রিলে হাজারো মানুষ

 

কানাডার কুইবেক সিটির একটি মসজিদে নামাজ আদায়রত অবস্থায় নিহত ছয় মুসলিমের তিন জনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মন্ট্রিলে জড়ো হয়েছে হাজারো মানুষ। এ তিন জনের নাম খালেদ বেলকাসেমি, আবদেলকরিম হাসানে ও আবুবকর থাবতি। বৃহস্পতিবার সরকারী শোকসভায় তাদের পরিবারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, কুইবেক অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফিলিপ কুইলার্ড, শহরের মেয়র রেজিস লাবেইউম সহ কুইবেক অঙ্গরাজ্যের রাজনীতিক, মুসলিম ধর্মীয় নেতারা। শুক্রবার কুইবেক সিটিতে নিহত বাকি তিন ব্যক্তির স্মরণেও শোকসভা আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। এরা হলেন মামাদু তানু ব্যারি, ইব্রাহিমা ব্যারি ও আজেদিন সুফিয়ান। প্রথম দু’জন গায়ানার ও শেষ জন মরোক্কোর মূল অধিবাসী। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, মরিস রিচার্ড অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই স্মরণসভায় তাদের মূল দেশ তিউনেশিয়া ও আলজেরিয়ার পতাকাও টাঙানো হয়। দাফনের জন্য তাদের মৃতদেহ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আমাদের দেশ ঐক্যবদ্ধ ছিল। এমন এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সবসময়ই একাত্ম ছিল যাদের গর্ব ও শক্তি এই নৃশংসতার মুখেও দৃঢ়। এই বিকেলে পুরো দেশ হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হয়েছে এখানে। আমরা এ অন্ধকার চিরে আলোর অভিমুখে মাথা তুলে দাঁড়াবো, আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে।’
স্মরণসভার সভাপতি চায়মা বেনহাজ বলেন, ‘আমরা এখানে জড়ো হয়েছি নিহত কানাডিয়ানদের স্মরণে যারা রবিবার আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তারা তাদের প্রিয় পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী ও এ দেশে এক খা খা অনুভ’তি রেখে গেছেন।’ রবিবার কুইবেক সিটির ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে এক বন্দুকধারির গুলিতে নামাজ আদায়রত অবস্থায় নিহত হন ৬ জন। আহত হন ৮ জন। এদের মধ্যে থাবতির বয়স ৪৪। তিউনেশিয়া থেকে কানাডায় পাড়ি জমানো থাবতি একজন ফার্মাসিস্ট। তিনি ছোট দুই সন্তানের পিতা। আক্রমনের শিকার মসজিদের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ ইয়াংগুই স্মরণসভায় বলেন, ‘আসুন আমাদের কুইবেককে একসঙ্গে গড়ে তুলি।’
নিহত আরেকজন হাসানের বয়স ৪১। আলজেরিয়ার মূল অধিবাসী হাসানের ছোট তিন মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী লুইজা রেডিও কানাডাকে বলেন, ‘আমি একজন স্বামী, পিতা ও একজন বন্ধুকে হারিয়েছি।’ বেলকাসেমি (৬০) নামে আরেকজন কুইবেকের লাভাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ছিলেন। এখানেই পড়াশুনা করেছিলেন বন্দুকধারী আলেক্সান্দ্রে বিসোনেট। তার ছেলে আমির এ সপ্তাহের শুরুতে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে এই ঘৃণা ও মূর্খতা অতিক্রম করবো। আমার পিতা বিনা কারণে মরতেন না।

Leave a Reply