নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে- জিএম কাদের
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারছি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, সাধারণ মানুষের আয় কমে যাচ্ছে প্রতিদিন। জীবন-জীবিকা নির্বাহ অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। মানুষজনের নাভিশ্বাস উঠেছে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করছে। অথচ সরকারের সেদিকে লক্ষ্য নেই। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ। গতকাল দুপুরে রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, প্রথম সংসদ অধিবেশনে আমি অসন্তুষ্টির কিছু বলিনি।
সংসদে বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্পিকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছি, যুক্তি দিয়েছি। এখন অনেকে বলেছে এটা বলার রেওয়াজ ছিল না। আমি বলি রেওয়াজ মানুষের তৈরি। নতুন রেওয়াজ তৈরির জন্য মানুষই রেওয়াজ ভাঙে। রেওয়াজ কোনো আইন নয়। আইন হলেও তা পরিবর্তন করা যায়। সংসদে আমি কোনো অসাংবিধানিক বক্তব্য দেইনি।জাতীয় পার্টি অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে কি না এমন প্রশ্নে জিএম কাদের বলেন, আমরা প্রায় ৩৪ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছি। এরমধ্যে ২০০১ সালে সর্বশেষ ৩শ’ আসনে নির্বাচন করেছি। সেই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ায় ১৪টি আসন পেয়েছিলাম। ৩৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে আমাদের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী দলে বিরাট ধস নেমেছে তা মনে করছি না। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালনের আন্তরিকতা থাকলে, জনগণের কথা পার্লামেন্টে উপস্থাপনের ইচ্ছা এবং সরকারকে জবাবদিহির মতো স্পিড থাকলে বিরোধী দলের সংখ্যা কোনো ব্যাপার না। বিগত সংসদে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নানা কথা হয়েছিল। এবার যেন সেই প্রশ্ন না আসে সেজন্য বিরোধী দল হিসেবে আমাদের যা যা করা দরকার তাই করবো। বঙ্গবন্ধুর মতো সংসদ নেতা থাকাকালীন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত পার্লামেন্ট কাঁপিয়ে রাখতেন। বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা, উপ-নেতাসহ আমরা সকলেই একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলাম, অনেকে মন্ত্রীও ছিলেন। তাই দেশবাসী আমাদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন।