দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো ভয়ে নেই উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন আসছে বলে ভয় পাবো! কেন ভয় পাবো! আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি, জনগণ যদি ভোট দেয় আছি, না দিলে নাই। তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট দেশের উন্নয়ন, মানুষের জীবনমানের অগ্রগতি। সোমবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন। সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করে তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওয়েস্ট-ইস্ট অব ডেমোক্রেসি আমরা ফলো করি। দেখুন, ব্রিটেনে কীভাবে ইলেকশন হয়, তারা কীভাবে করে, আমরা সেভাবেই করবো। এরমধ্যে আমরা এটুকু উদারতা দেখাতে পারি, পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারে আসতে চান, আমরা নিতে রাজি আছি। এটুকু উদারতা আমাদের আছে, আগেও আমরা নিয়েছি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আমি খালেদা জিয়াকেও আহ্বান (নির্বাচনকালীন সরকারে আসতে) করেছিলাম। তারা তো আসেনি। আর এখন তো তারা নাইও পার্লামেন্টে।
কাজেই ওটা নিয়ে চিন্তারও কিছু না। বিএনপির আন্দোলন বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা মাইক লাগিয়ে আন্দোলন করেই যাচ্ছে। সরকার হটাবে। আমরা তো তাদের কিছু বলছি না। আমরা যখন অপজিশনে ছিলাম আমাদের কি নামতে দিয়েছে? গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারছে। নির্বাচন ঠেকাতে ৫০০ স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে। সাড়ে তিন হাজার লোককে আগুনে পোড়ানো হয়েছে। তিন হাজার ৮০০ গাড়ি, ২৭টি রেল, ৯টি লঞ্চ, ৭০টি সরকারি অফিস পুড়িয়েছে। তারা তো জ্বালা-পোড়াওই করে গেছে। আমি বলে দিয়েছি, আন্দোলন করুক। কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু জ্বালাও-পোড়াও যদি করতে যায়, কোনো মানুষকে যদি আবার এরকম করে পোড়ায়, তাকে ছাড়বো না। মানুষের ক্ষতি আর করতে দেবো না।