নির্বাচন না হলে কোটি টাকার ইভিএম দিয়ে কি হবে: আ স ম রব
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলের রূপরেখা নিয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুর রব বলেন, সরকার বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলা করছে। সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা সমাজের সবার সঙ্গে মতবিনিময় করবো। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, নির্দেশ ছাড়া হামলা করা যাবে না। এতে বোঝা যায়, আগের হামলাগুলো সরকারের নির্দেশে হয়েছে। পালাবার রাস্তা পাবেন না। যাদের আত্মীয়স্বজনকে মেরেছেন তারা ধরবে। আমরা বলে দিবো ধরার জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র জনগণের জন্য নয়।
জেএসডি সভাপতি বলেন, বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা কমিশন গঠন করবো। আমরা কারও ওপরে কিছু চাপিয়ে দেব না। আমরা ক্ষমতার হাত বদলে বিশ্বাস করি না। অন্যান্য জোটের সঙ্গে এই জোটের পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। যারা নির্যাতিত তাদেরকে মামলা দেয়া হয়েছে। এই রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই। রাষ্ট্র জনগণের নেই। আমরা এই রাষ্ট্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি।
তিনি আরো বলেন, পাশের দেশের বক্তব্য হলো বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নয়, রাষ্টের সঙ্গে সম্পর্ক। এর মাধ্যমে সিগন্যাল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় রাখা হবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা রাখেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, শিক্ষাবিদ আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের রফিকুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোমেন হোসেনসহ প্রমুখ।