নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে খালেদা জিয়াকে জেলে ঢুকানো হয়েছে

11/04/2018 10:32 amViews: 7
নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে খালেদা জিয়াকে জেলে ঢুকানো হয়েছে’
 
‘নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে খালেদা জিয়াকে জেলে ঢুকানো হয়েছে’

ফাইল ছবি
 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপিকে বাইরে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে। সরকার ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে। এবার যদি বিএনপি নির্বাচনে যায় তাহলে সরকারের একদলীয় নির্বাচনের উদ্দেশ্য সফল হবে না। তাই বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে খালেদা জিয়াকে জেলে ঢুকানো হয়েছে। এসময় আগামী সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনেরও দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার জনগণকে ভয় পায়। তাই রাষ্ট্রের তিনটি স্থম্ভ আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। এই সরকার স্বৈরাচারী সরকার। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীও তাই বলেছে।
মঙ্গলবার বিকালে সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। সমাবেশ উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রেজিস্ট্রারি মাঠে আসেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
মোশাররফ বলেন, ইতিহাস বলে স্বৈরাচার বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। একসময় পতন হয়। এই সরকারের পতন হবে। তিনি চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলকে যৌক্তিক মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই আন্দোলনে সরকার পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে। খন্দকার মোশারফ নিখোঁজ থাকা বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি এম. ইলিয়াস আলীকে স্মরণ করে বলেন, তাঁর অভাব আমরা অনুভব করি। দেশের মানুষ তাকে ভুলে নাই।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সম্পাদক আলী আহমদ ও মহানগর সম্পাদক বদরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বেলা ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি বলে জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান খান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ইনাম আহমদ চৌধুরী, ড. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার মুক্তাদির, বিএনপির উপদেষ্ঠামন্ডলীর সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবন, স্বেচ্ছাবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সফু, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গৌছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, কলিম উদ্দিন মিলন, শফিকুল ইসলাম বাবুল, সহ-ক্ষুদ্রউণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, শাম্মী আখতার, সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আহমদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য নাসের রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, হাদিয়া চৌধুরী মুন্নি, চিত্রনায়ক হেলাল খান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।

Leave a Reply