নির্বাচন ঠেকাতে সংগ্রাম কমিটি গঠন করুন : খালেদা
এক তরফা নির্বাচন ঠেকাতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সংগ্রাম কমিটি গঠন করতে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা এক তরফা নির্বাচন করতে চাইছে। আর এই নির্বাচন ঠেকাতে সারা দেশে কেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম কমিটি গঠন করুন। কিছুতেই তাদের অধীনে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
শনিবার বিকালে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ১৮ দলীয় জোট আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। তারা আরেকবার ক্ষমতায় এলে দেশটাকেই খেয়ে ফেলবে।
তিনি বলেন, টিপাইমুখ বাঁধের আন্দোলন করার কারণেই ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে।
রামপালে বিদ্যুত্ কেন্দ্র হতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে বেগম জিয়া বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুেকন্দ্র হলে আমরা রক্ষা পবো না, দেশও রক্ষা পাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যুেকন্দ্র দরকার। কিন্তু তা রামপালে নয়। এটা করলে সুন্দর বনের জীববৈচিত্র শেষ হয়ে যাবে। পশুপাখি, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, গাছপালা মরে যাবে। পানি শুকিয়ে যাবে। রামপালে না করে অন্য কোথাও করলে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কারণ দেশের পরিবেশ বিনষ্ট করে কিছু করা যাবে না।
বিরোধী নেতা বলেন, ভারতেও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র করতে চেয়েছিলো কিন্তু জনগণ করতে দেয়নি। তাই বাংলাদেশের ঘাড়ে এসে চেপে বসেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
খালেদা বলেন, আওয়ামী লীগ মানে খুন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী গুম, দুর্নীতি নারী নির্যাতন। আজ এদেশের কোনো মানুষই নিরাপদ নয়।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চট্টগ্রামের বৌদ্ধপল্লীতে-মন্দিরে হামলা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ৫টি ব্যাংক দেউলিয়া হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গিবাদের উত্থান হয় ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা হয়।
আওয়ামী লীগ কাউকে সম্মান দিতে পারে না উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার তাদের কোনো ওয়াদাই পূরণ করেনি। তারা ঘরে ঘরে চাকরি দিতে চেয়েছিল, তা কি দিয়েছে? ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াতে চেয়েছিল তা কি পেরেছে। তারা সার ও ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের দাম ৫ গুণ বাড়িয়েছে।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসলে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে কোনো লোক নেয় না।
খালেদা জিয়া বলেন, সিটি নির্বাচনে জনগণ সিলেটে আওয়ামী লীগকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছে। আশাকরি আগামী সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে লাল কার্ড দেখাবে।