নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার পরিকল্পনায় সরকার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।
সোমবার বিকালে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, বিরোধী দলের অফিস ও প্রার্থীর ওপর হামলা, সমর্থকদের হত্যা, প্রচারণায় বাধা দেয়া, ভয়ভীতি প্রদর্শন, গ্রেফতার ও হুমকি চরম আকার ধারণ করেছে।
এই ‘নাজুক পরিস্থিতিতে’ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছি। নানা ধরনের চাপ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেক জায়গায় বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি, প্রত্যাহারেও বাধ্য করা হয়েছে। তবে আমরাও নির্বাচনী যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত অবিচল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সেনা মোতায়েনের দাবি করেছি। নির্বাচনে কমিশন বলেছে- সে ধরনের পরিস্থিতি না কি সৃষ্টি হয়নি। আমরা জানি না, আর কত ভয়াবহ পরিস্থিতি হলে সেনা মোতায়েনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ জানাই- আসন্ন পৌর মেয়র নির্বাচনে আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আপনাদের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে ভূমিকা রাখবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের মজিবুর রহমান পেশোয়ারী, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।